বাংলাদেশে নোয়াখালীতে পুকুর থেকে আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার, মোট নিহত ৬
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: শুক্রবার বাংলাদেশে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে পুজোমণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। শনিবার মন্দির-সংলগ্ন পুকুর থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (অষ্টমী) কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও পুজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন নিহত হলো।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের একটি পুজোমণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং অন্য একটি মন্দিরের ভেতরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের দাবি, পুকুর থেকে যার মৃতদেহ পাওয়া গেছে, তিনি শুক্রবারের ওই হামলায় নিহত হয়েছেন। হামলায় আরও তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ বলছে, ময়না তদন্তের আগে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। এদিকে, শুক্রবার চট্টগ্রামে মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে শনিবার আধাবেলা হরতাল পালন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। পাশাপাশি, ঢাকায়ও এদিন বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ পুজো উৎযাপন কমিটি।
নোয়াখালির বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে শুক্রবারের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছিলেন বলে পুলিশ আগেই নিশ্চিত করেছিল। শনিবার সকালে চৌমুহনীর ইসকন মন্দির সংলগ্ন পুকুরে আরেকটি মৃতদেহ ভেসে উঠলে মন্দিরের লোকজন তাঁকে চিনতে পারেন। ইসকন চট্টগ্রামের বিভাগীয় সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বলছেন, নিহতের নাম প্রান্ত চন্দ্র দাস। তিনি শুক্রবারের সংঘর্ষের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
প্রান্ত চন্দ্র দাসের মৃতদেহ পাওয়ার পর থেকেই সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ১৪৪ ধারা ভেঙে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। চৌমুহনী থানার শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, যেহেতু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা এবং শনিবারেও একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তাই তাঁদের আবেগের বিষয়টা বিবেচনা করে তাঁদের বাঁধা দেয়া হয়নি।
বেগমগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের অভিযোগ, শুক্রবার প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে ১৫ টা মন্দিরে হামলা চালালেও পুলিশকে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালির পুলিশ সুপার কোনও মন্তব্য করেননি।
Bangladesh: Death Toll Rises to Six
Also Read: