Thursday, January 23, 2025
দেশ

পাঠ্য বইয়ে হরপ্পা সভ্যতার নাম বদলে ‘সিন্ধু-সরস্বতী’ করলো NCERT

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: এবার পাঠ্যয়ে হরপ্পা সভ্যতার নাম পরিবর্তন করে ‘সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতা’ করে দিলো জাতীয় শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ (NCERT)। এই পরিবর্তনে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। এছাড়া ভারতীয় সমাজের বর্ণনায় বেদের উল্লেখ থাকলেও বর্ণ ও জাতিবাদ বাদ দেওয়া হয়েছে। নারীসমাজ এবং শূদ্রদের বেদ চর্চার অধিকার ছিল না, বই থেকে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। ভূগোলে কালিদাসের কুমারসম্ভব কবিতা রয়েছে। 

NCERT-র ষষ্ঠ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞানের (Sociology) বইয়ে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। NCERT-এর মতে, সিন্ধু ও সরস্বতী নদী সংলগ্ন এলাকায় যে প্রাচীন সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল, তা ‘সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতা’ নামে পরিচিত হওয়া উচিত। সরস্বতী নদী, যা এখন বিলুপ্ত, প্রাচীনকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল এবং অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা এর আশেপাশে পাওয়া গেছে। 

নাম পরিবর্তনের পেছনে NCERT-এর যুক্তি হল, প্রাচীন সাহিত্যে সরস্বতী নদীর উল্লেখ পাওয়া যায় এবং অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণও এর সমর্থন করে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এর মাধ্যমে সভ্যতার ঐতিহাসিকতা ও প্রামাণিকতা বিকৃত হতে পারে। অনেকেই এটিকে ইতিহাসের পুনর্মূল্যায়ন হিসেবে দেখছেন। তবে সমালোচকরা মনে করেন, রাজনৈতিক প্রভাব ও বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এ ধরনের পরিবর্তন করা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। 

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল প্ল‌্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চ্যান্সেলর এম সি পন্থের নেতৃত্বাধীন ১৯ সদস্যের কমিটি এই নয়া পাঠ্যবইয়ের দায়িত্বে ছিল। কমিটিতে ছিলেন লেখিকা সুধা মূর্তি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারপার্সন বিবেক দেবরায়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শাখা সংগঠন সংস্কৃত ভারতীর প্রতিষ্ঠাতা চামু কৃষ্ণ শাস্ত্রী, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মঞ্জুল ভার্গব এবং সংগীতশিল্পী শংকর মহাদেবন।