Friday, May 17, 2024
সম্পাদকীয়

ঘুম ভাঙ্গানোর ইতিকথা

————————-
পাঞ্চালী গুপ্ত
=========

– “আজ তোমার কাছে শোবো দিদান।”

– “ওহ, গল্প শুনতে ইচ্ছা করছে নাকি?”

– “না দিদান। এমনি, মনটা ভালো নেই।”

– “কেন কী হল আবার?”

– “কিছু না। একটা গল্প শোনাও। তারপর ঘুমিয়ে যাবো।”

– “কী গল্প শুনবি বল? রামায়ণ, মহাভারত থেকে কিছু বলবো নাকি পুরাণ থেকে কিছু শুনবি?”

– “নাহ্। ধুর, তুমি সেই আবার একই কথা তুলছ!”

– ” যাব্বাবা আমি আবার কী বললাম?”

– “দেখো দিদান, আজ কলেজে এই নিয়েই অশান্তি হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে।”

– “এই নিয়ে মানে?”

– “শ্রী রামকে নিয়ে তর্ক। আরে তুমি জানো দিদান, কলেজে আজকে ফার্স্ট পিরিয়ডের পর সবাই বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ করেই রাম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেলো। আগের ক্লাসে স্যর মেঘনাদ বধ কাব্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে রামায়ণ নিয়ে অনেক কথা বলেন। সেই কথার জের টেনেই জেসমিন রামচন্দ্রের চরিত্র নিয়ে ভুলভাল মন্তব্য করতে লাগল। আমিও বলে দিয়েছি আগে রামায়ণ পড়, তারপর বড় বড় কথা বলবি। আমি তো….”

– “পুপু রেগে গিয়ে কী হবে বল? ওর তো আর তোর মত দিদান নেই যে আসল রামায়ণ ওকে গল্প করে শোনাবে। আচ্ছা পুপু, জেসমিন মুসলিম?”

– “নাআআ দিদান। হিন্দু, জেসমিন মুখার্জী। ওই জন্য তো আরও রাগ হয়ে গেল। হিন্দু হয়ে কী করে…. ”

– “কী করে আর কি…. এ আর এমন কি? তোর কাছে প্রথম বলে তোর রাগ হয়েছে। আমাদের সময়ের মত ঠকতে হলে আর রাগের অবকাশটুকুও থাকতো না।”

– “ঠকতে হলে মানে? কে ঠকালো? কী ঘটনা একটু বল।”

– “এখন নয়, কাল বলবো।”

– “না দিদান, এখনই শুনবো। তুমি বল।”

– “ঘুমোতে যাওয়ার আগে এসব কথা শুনিস না পুপু! ঘুম আসবে না।”

– “তুমি বলবে? ঘুম আসবে। তুমি বলনাআআ….”

– “তখন আমার আঠারো বছর পূর্ণ হয়েছে। বাবা বললেন যে ঢাকার অবস্থা দিনে দিনে পাল্টাচ্ছে। ওখানে থাকা সুবিধার হবে না। আমি যদিও তখন কিছু বুঝিনি। আমার কাছে সব তখনও স্বাভাবিক ছিল। বাবার পরামর্শে চলে এলাম কলকাতায় পিসির বাড়ি। মা-বাবা বাড়ির সকলের জন্য মন খারাপ করত। ভর্তি হলাম কলেজে। সাথে সাথে চলল আমার সম্বন্ধ দেখার তোড়জোড়। দেখতে সুন্দরী ছিলাম বলত সবাই। সেই জন্য পিসি-পিসেমশাই আর পিসতুতো দাদা-দিদিরা আগলে আগলে রাখত। এত সুরক্ষা ব্যবস্থা কেন ছিল আমার জন্য বুঝতে পারতাম না। একটা বেলার মধ্যে সবটা পরিষ্কার হয়ে গেলো আমার কাছে। বাবা আমায় কলকাতা কেন পাঠালেন। কেন আমায় এত আগলে রাখা হয়….. ”

– “কেন দিদান?…. ”

– “১৯৪৬ সাল। নেতাজীর কোনও খবর নেই। দেশের মধ্যে একটা ডামাডোল অবস্থা। মুসলিম লীগের নেতা মহম্মদ আলি জিন্নাহ মুসলিমদের জন্য আলাদা জমির দাবী নিয়ে সরব হয়েছেন তখন। সেই মত নাকি জিন্নাহ, নেহেরু, গান্ধীজীর মধ্যে চুক্তিও হয়েছে। খবরে বেরিয়েছিল সেসব। আমার ওসব খবরে কোনও আগ্রহ ছিল না। নিজের সদ্য পাওয়া কৈশোরের মোহেই বিভোর ছিলাম আমি। সাজগোজ, কলেজ যাওয়া, বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডা — এইসব আর কি!!! কে পড়বে কাগজের ঐ নীরস খবরগুলো। কিন্তু ঐ খবরগুলোই যে একদিন গোগ্রাসে গিলবো ভাবিনি।”

– “কেন? কী হয়েছিল?”

– “জিন্নাহ তো দাবী করেন মুসলিমদের জন্য আলাদা জমি। কী’সব চুক্তিতে সইও হয়। কিন্তু জিন্নাহ নাকি নেহেরু আর গান্ধীজীর কথায় ভরসা রাখতে পারেননি। কেন, কী কারণ, আমি জানতাম না। পিসেমশাইকে একদিন দেখলাম সকালবেলায় খবরের কাগজটা হাতে নিয়ে মুখ কালো করে বসে আছেন। ৪৬-এর জুন অথবা জুলাই হবে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কী হয়েছে। বললেন, ‘বিপদটা ঘটেই গেল রে গায়ত্রী।’ ‘কিসের বিপদ পিসেমশাই?’ ‘জিন্নাহ নিজের বোম্বের বাড়িতে প্রেস ডেকে ঘোষণা করেছেন যে, ওদের দাবী আদায় করে নিতে ওরা শহীদ মিনারে জমায়েত করবে।'”

– “এই শহীদ মিনার?”

– “হ্যাঁ, কলকাতার শহীদ মিনার। বড়পিসি চায়ের ট্রে হাতে নিয়ে ডাইনিংয়ে এল। পিসি বলল, ‘এত ভয়ের কী আছে? বলছে তো জমায়েত।’ পিসেমশাই উত্তর দিলেন, ‘Direct Action Day’ কথাটার মানে কী কাজরী? কেমন যেন হুমকি শোনাচ্ছে।’ এরপর এল আগস্ট মাস। ধীরে ধীরে বুঝতে পারছিলাম, পরিবেশ কেমন পাল্টাচ্ছে। মুসলিম লীগ তখন বাঙ্গালা শাসন করছে। মুখ্যমন্ত্রী সুরাবর্দী দেখলাম হঠাৎ করে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে দিলেন ১৬ই আগস্ট। আমার বাবা-মা, দুই দাদা এসে পৌঁছালেন পিসির বাড়িতে। সন্ধ্যাবেলা ডাইনিংয়ে চায়ের আড্ডায় বাবা আর পিসেমশাই-এর কথা লুকিয়ে শুনেছিলাম। ভাইবোনেরা সবাই দোতলার ঘরে বসে গল্প করছিলাম। আমি বাবাদের আলোচনা শুনবো বলে ইচ্ছা করেই জল আনার নাম করে নিচে নামলাম। শুনলাম বাবা পিসেমশাই কে বলছেন

– ‘ওরা চায়টা কি জামাইবাবু?’ ‘অশোক সত্যি কথা বলতে ওরা মুখে বলছে আলাদা হোমল্যান্ড চাই ওদের মুসলিমদের জন্য, সেই দাবীতেই হবে জমায়েত। কিন্তু বিশ্বাস করো অশোক, আমার মন বলছে, কিছু একটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। আমরা হয়ত কল্পনাও করতে পারছি না।’ ‘আপনি এত আতঙ্কিত কেন হচ্ছেন জামাইবাবু?’ ‘অশোক ওদের হাবভাব পাল্টে গেছে। এই তো পরশুদিন কোর্টে তারেক আলীর সাথে একটা মোকদ্দমা নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়ে গিয়েছিল। তো তারেক আলী হঠাৎ কেমন উত্তেজিত হয়ে উঠলো। চোখ মুখের ভাবটাই কেমন অন্যরকম হয়ে গেল।

বিস্ফোরিত চোখ নিয়ে ঠান্ডা সুরে আমায় বললে, আশীষদা নিজেকে সামলান। আপনারাই সব জানেন আর আমরা সব মূর্খ এখন আর এসব ভাববেন না, দিন আমাদেরও আসছে, বেশী দেরী নেই।’ ‘জামাইবাবু এতো সাংঘাতিক কথা। এমন কথা বলার অর্থ কী?’ ‘তুমিই বুঝে নাও কী অর্থ।’ ‘কিন্তু তারেকদা তো আপনার জুনিয়র। আপনাকে খুব সমীহ করে আমি নিজে দেখেছি!’ ‘নাহ্ অশোক সব পাল্টে গেছে, কিচ্ছু আর আগের মত নেই। শুধু তারেক আলী নয়, ওরা সবাই পাল্টে গেছে অশোক, সবাই পাল্টে গেছে।’ ‘কী হবে জামাইবাবু?’ ‘আমি জানি না অশোক এসবের শেষ কোথায়? ১৬ তারিখটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। বন্ধ নিয়ে পার্টি কী বলছে?’ ‘কিছুই না। বসুবাবু একটা অদ্ভুত মন্তব্য করেছেন। বলেছেন যে যে জায়গায় বন্ধ সমর্থন করার, আমরা বন্ধ সমর্থন করব, আর যে যে জায়গায় বিরোধিতা করার, বিরোধিতা করবো।’ ‘এ্যঁ, এ কেমন কথা হল?’ ‘কি জানি কেমন কথা! একথার মাথা মুন্ডু আমিও বুঝিনি।’

‘ওদিকে কংগ্রেসের ভূমিকাও কেমন চুপচাপ। কে যে কী চাইছে অশোক, কিছুই বুঝতে পারছি না। শুধু এটুকু বুঝতে পারছি, কিছু একটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।’ বাবা পিসেমশাইয়ের কথা শুনে আমার নিজের শরীরে কেমন ঠান্ডা স্রোত নেমে গেল। ওদের মুখের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল, তা আমার আজও মনে আছে।”

– “দিদান তারপর?”

– “১৬ ই আগস্টের দু’দিন আগের কথা। আমার বন্ধু মালতী এসেছিল আমার কাছে। আসলে অনেক দিন বেরোয়নি বাড়ি থেকে। পিসি বেরোতে দেয়নি। পিসেমশাইয়ের বারণ ছিল। শুধু দাদারা বেরোচ্ছিলেন। বোনেরা সব ঘরবন্দি তখন। মালতী আমায় খুব ভালোবাসত। খুব কাছের বন্ধু ছিল আমার ও। অনেক দিন দেখা হয়নি, তাই দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু তখন কি আর জানতাম মালতীর সাথে আমার ওটাই শেষ দেখা!”

– “কেন দিদান? কি হয়েছিল?”

– “মরে গেল যে মেয়েটা! মেরে দিল ওকে জল্লাদগুলো!”

– “মানে?”

– “১৬ ই আগস্ট গোটা কলকাতা বন্ধ। দোকানপাট, অফিস-কাছারী, স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। বড় দাদা খবর আনলেন, শহীদ মিনারে ওরা জমায়েত করেছে। খালি হাতে নয়, রীতিমতো অস্ত্র সহযোগে! ছুরি-কাটারি, আরও অনেক কিছু। শুনে শিউরে উঠলাম।

পিসেমশাই বললেন, ‘আমি এটাই আশঙ্কা করছিলাম।’ সবাইকে বললেন ঘরে দোর এঁটে বসে থাকতে। আর এটাও বলে দিলেন, ‘রক্ষা পাবো কিনা জানি না, সকলে প্রস্তুত থেকো।’ বাড়িতে যত ধারালো আর ভারী বস্তু ছিল, আত্মরক্ষার খাতিরে সব কিছু সাথে নিয়ে আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম। আর মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকতে লাগলাম। এমন দিন দেখতে হবে কখনও ভাবিনি। পিসেমশাই বলেই দিয়েছিলেন, ‘প্রয়োজন বুঝলে চালিয়ে দিবি কাটারি। একদম ভয় পাবি না।’ ধীরে-ধীরে হট্টগোলের আওয়াজ বাড়তে লাগল। বড়দাদা-মেজদাদারা উত্তেজিত হয়ে বাইরে বেড়িয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুমতি চাইলেন পিসেমশাইয়ের কাছে। কিন্তু অনুমতি মিলল না। পিসেমশাই বললেন, ‘আমি নেতাজীর বাবার মতন অত শক্ত মনের মানুষ নই।’ এখনও মনে আছে একটানা একসপ্তাহ আমরা এভাবেই বন্ধ ছিলাম ঘরের ভিতর।”

– “একসপ্তাহ?”

– “হ্যাঁ, এক সপ্তাহ। কারণ ১৬ ই আগস্ট সকাল থেকে ওদের হল্লা শুরু হলেও সরকার থেকে প্রোটেকশন দেওয়ার লোক পাঠিয়েছিল ১৭ ই আগস্ট দুপুরবেলা।”

– “কি বল কি দিদান!”

– “হ্যাঁ। আসলে কলকাতার হিন্দুদের সকলে মরতেই ছেড়ে দিয়েছিল। কেউ এগিয়ে আসেনি। নাহ রে পুপু, ভুল বললাম। একজন এগিয়ে এসেছিলেন। গোপাল পাঁঠা।”

– “পাঁঠা? এটা আবার কেমন নাম?”

– “আসলে ওনার নাম গোপাল মুখার্জী। ওনার পাঁঠার মাংসের দোকান ছিল। তাই ওমন নাম আর কি! ওই মানুষটা ছিল বলে হিন্দুরা রক্ষা পেয়েছিল। উনি অনেক হিন্দু ছেলেকে এক জায়গায় করে মুসলমানদের উপর প্রতি আক্রমণ চালান। বাস্তবের যোদ্ধা উনি।….”

– “তারপর?”

– “ঘরে লুকিয়ে থাকলেও খবর আসছিল কিছু কিছু। ওরা নাকি হিন্দু দেখলেই কুপিয়ে দিচ্ছে। দোকান লুট করছে। হিন্দুদের ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে, মেয়েদেরও ছাড় দেয়নি। বহু বাড়ির মেয়েদের ক্ষতবিক্ষত নগ্ন দেহ নাকি কলকাতার রাস্তায় ছড়িয়ে আছে বাকি লাশেদের সঙ্গে। তবে গোপাল পাঁঠার হুকুম ছিল তার ছেলেদের যে, মুসলমানদের কোপাও আত্মরক্ষার স্বার্থে, কিন্তু মুসলমানদের মেয়ে-বউ-বাচ্চাদের যেন একটাও আঁচ না লাগে। অবশেষে ২২ সে আগস্ট কিছুটা শান্ত হল পরিবেশ। পরিবেশ শান্ত হতেই মালতীর জন্য মন কেমন করতে লাগল। সেদিন থেকেই ভাবছি মালতীরা ঠিক আছে তো। বড় দাদাকে একটু খবর আনতে বললাম। বিকেলে বড় দাদা বাড়ি ফিরতে শুনলাম। মালতীর দেহটা নাকি ক্ষতবিক্ষত নগ্ন অবস্থায় মোড়ের মাথায় পড়েছিল। বেচারী দাদার মৃত্যুর খবর শুনে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেনি ঘরে। ছুটে চলে গেছিল মোড়ের মাথায়। তারপর ওর সাথে ঘটে ওই পাশবিক ঘটনা। ওর দাদা নাকি গোপাল পাঁঠার সঙ্গে সহযোগিতায় ছিল। এর কিছু দিন পর ছেলেমেয়ে হারানোর শোকে ওদের মা-বাবাও মারা যান। এরকম কত হাসিখুশি পরিবারকে চোখের সামনে শেষ হতে দেখলাম! সব মনে আছে রে পুপু। সরকার আর ওই নপুংসক হিন্দু নেতাদের ভূমিকায় ওই সময় আমার গা গুলিয়ে উঠেছিল। ওরা সবাই আমাদের মুসলমানদের হাতে মরতে ছেড়ে দিয়েছিল। বড়দাদা-মেজদাদাও পিসেমশাইয়ের উপর বিরক্ত ছিলেন আমৃত্যু। খালি বলতেন, ‘বাবা ওই সময় দিব্যি দিয়ে আটকে না দিলে হয়ত বেঁচে থাকতাম না ঠিকই, কিন্তু আজীবন এই লজ্জা আর গ্লানি তো বইতে হত না।’ ঈশ্বরের কোন কৃপায় আমরা বেঁচে গেছিলাম জানি না রে পুপু।”

– “কী সাংঘাতিক দিদান! ”

– “পুপু, মা, আপনারা এখনও ঘুমান নি! আর মা আপনি পুপুকে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের গল্প শোনাচ্ছেন? মা ও কলেজ যায়, যদি কখনও তর্কবিতর্কের জেরে পুপু এসব কথা ওর বন্ধুদের বলে দেয়, কী হবে ভেবে দেখেছেন? বসুবাবুর সরকার এখন ক্ষমতায়। পুপুর কলেজেও ঐ পার্টির ইউনিয়ন। মা আপনাকে অনুরোধ করছি, এসব কথা ওকে বলবেন না।১৯৪৬-এর একটা দুর্ঘটনা আজকে এই ২০০৫-এ টেনে এনে আর কী লাভ বলুন তো? ঘুমিয়ে পড়ুন আপনারা। আমি দরজাটা ভেজিয়ে দিয়ে গেলাম।” –

“ঘুমিয়ে পড় পুপু। তোর বাবা খুব রেগে গেছে।”

– “ঘুম আসছে না দিদান………….. ”

(লেখিকা- পাঞ্চালী গুপ্ত । মতামত লেখিকার নিজস্ব)