Thursday, May 2, 2024
আন্তর্জাতিক

চিনের তৈরি করোনা টিকা নিয়ে বিপাকে বহু দেশ, কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

বেইজিং: গতবছরের শুরুর দিকে চিনের উহান থেকে গোটা বিশ্বে মারণ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। করোনার জেরে বর্তমানে নাজেহাল গোটা বিশ্ব। করোনা মোকাবেলায় চাই গণ টিকাকরণ। আর টিকার বিশ্বের অনেক দেশই চিনের উপর ভরসা করছে। আর এই ভরসাই দেশগুলোর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো।

চিনের তৈরি করোনা টিকা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মঙ্গোলিয়া, বাহরাইন, চিলি ও পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপদেশ সেশেলস। দেশগুলোতে করোনাকে রুখে দেওয়া তো দূরের কথা, রীতিমতো করোনার প্রকোপ সামলাতে হিমশিম এখন খেতে হচ্ছে তাদের। করোনা ঊর্ধ্বগতিতে চিনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

চিন নিরাপদ এবং কার্যকর টিকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের টিকা কূটনীতির প্রচার শুরু করেছিল। যদিও তাদের টিকা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবুও উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশ চিন থেকে টিকা কিনেই চলেছে।

আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটার তথ্যানুযায়ী, সেশেলস, চিলি, বাহরাইন এবং মঙ্গোলিয়ার জনসংখ্যার ৫০% থেকে ৬৮% মানুষকেই টিকার ডোড নিয়েছেন, টিকাকরণের এই হার ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রকেও। কিন্তু তথ্যানুযায়ী, সম্প্রতি গত সপ্তাহে এই ৪ দেশই বিশ্বে করোনা বিপর্যস্ত শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। আর এই দেশগুলো সবই মূলত ব্যবহার করেছে চিনের সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানির তৈরি করোনা টিকা।

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জিন দোগান বলেন, টিকা ভালো হলে আমাদের এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। এখন এর প্রতিকার করার দায়িত্ব চিনের ওপরই বর্তায়।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন। বেশিরভাগই নিয়েছেন ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। সেখানে ৬ মাসে করোনা শনাক্তের হার কমে গেছে ৯৪ শতাংশ।

ইসরায়েলও খুব দ্রুতই বেশির ভাগ মানুষকে ফাইজারের টিকা দিয়েছে। দেশটিতে এখন দৈনিক নতুন করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে প্রতি ১০ লাখে প্রায় ৪ দশমিক ৯৫ জনে।

অথচ, চিনের সিনোফার্ম কোম্পানির তৈরি করোনা টিকা ব্যবহার করা সেশেলসে এখন করোনা শনাক্তের হার প্রতি ১০ লাখে ৭১৬ জন।