“বাবার গলাতেই বিয়ের মালা দিলেন পাক তরুণী” পোস্টে ‘ইসলাম যৌন ধর্ম’ মন্তব্য করায় গ্রেফতার হিন্দু কলেজ শিক্ষক
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে একের পর এক গ্রেফতারির ঘটনা বাংলাদেশে। এবার ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার ও কমেন্ট করায় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ জিকেপি ডিগ্রী কলেজের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সুনীল চন্দ্র ঘোষ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘বাবার গলাতেই বিয়ের মালা দিলেন পাক তরুণী’ শিরোনামে একটি লেখা শেয়ার করে। পোস্টের কমেন্টে লেখেন- ‘যৌন ধর্ম বলে কথা ভাই, ওটা যৌন ধর্ম’। ফতোয়াবাজদের সংগঠন, আদম-টাদম সবই ভুয়া কাল্পনিক মানুষের তৈরী গল্প’। এতে ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানায় মৌলবাদীরা। এ ঘটনায় শম্ভুগঞ্জ এলাকার মুসলিমদের মধ্যে মুহুর্তেই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার শম্ভুগঞ্জ বাইতুল আমান জামে মসজিদে ইমাম মহম্মদ কাইয়ূম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষ মুক্তাগাছা উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে বর্তমানে সে ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা এলাকায় বসবাস করত।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন জানান, জেলা পুলিশ সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ফেইবুকে আপলোডকৃত পোস্টের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়েছে। সুনীল চন্দ্র ঘোষকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ~ দৈনিক ইনকিলাব