Sunday, May 19, 2024
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি হিন্দুদের পক্ষে মুখ খোলায় ফেসবুকে ৭ দিন নিষিদ্ধ হলেন তসলিমা নাসরিন

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের একাধিক পুজো মণ্ডপে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সবর হতে দেখা যায় লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে (Taslima Nasrin)। তবে বাংলাদেশী হিন্দুদের পক্ষে কথা বলার অপরাধে ফেসবুক থেকে তাঁকে ৭ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে টুইটারে জানিয়েছেন নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা।

তসলিমা নাসরিনের অভিযোগ, সত্যি কথা বলার জন্যই ফেসবুক থেকে তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ঘটনায় টুইটারে একাধিক টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।


টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ফেসবুক আমাকে নিষিদ্ধ করেছে কারণ আমি লিখেছিলাম, মৌলবাদীরা হিন্দুদের মন্দির এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে। হিন্দুরা হনুমানের কোলের ওপর কোরআন রেখেছে এটা বিশ্বাস করেই তাণ্ডব চালায় তারা। কিন্তু যখন জানা গেল হিন্দুরা নন, ইকবাল হোসেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তখন কট্টরপন্থীরা ইকবালের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি কোনো পদক্ষেপও নেননি।’

ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার উদাহরণ টেনে ভারতকে ভূয়শী প্রশংসা করেন তসলিমা নাসরিন। এ প্রসঙ্গে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘হিন্দুরা আজমের শরিফ দরগা, নিজামউদ্দিনের মতো জায়গায় প্রার্থনা করেন, সলমন খান গণেশ চতুর্থী পালন করেন, শাহরুখ খান সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে প্রার্থনা করেন। এটাই ভারতবর্ষ।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সম্প্রতি হিন্দুদের ওপর হয়ে যাওয়া হামলার ঘটনা প্রথম থেকেই তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছেন তসলিমা নাসরিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ২৮ বছর আগে লজ্জা লিখেছিলাম। তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকার বইটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। শেখ হাসিনার সরকার যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী হন তাহলে বইটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় না কেন?’