Wednesday, May 15, 2024
দেশ

সফল পরমাণু সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত; ‘যোগ্য জবাব দিলাম’, টুইট মোদীর

বিশাখাপত্তনম: সাফল্যের সঙ্গে শেষ হল সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত-এ পরমাণু চুল্লি লাগানোর কাজ। শনিবার ভোরে বিশাখাপত্তনমের জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রে এই চুল্লি লাগানোর কাজ শেষ হয়। আকাশ এবং স্থলপথে পরমাণু অস্ত্রবাহী যান আগেই ছিল। এই সাফল্যে জলপথেও পরমাণু অস্ত্রবাহী রণতরী পেল ভারত। ফলে স্থল, জল এবং অন্তরীক্ষ -তিন অবস্থান থেকেই পরমাণু হামলা চালানোয় সক্ষম ভারত। খুব শ্রীঘ্রই এই রণতরী নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।

দীর্ঘ মহড়ায় সমুদ্রের তলা থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রতিপক্ষের সীমানায় পরমাণু হামলা চালানোর মহড়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আইএনএস অরিহন্তের এ সফল ‘ডেটারেন্স পেট্রোল’ ভারতের সামরিক বাহিনীর মর্যাদাকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

অরিহন্তের সাফল্যের কথা ঘোষণা করে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, যাঁরা পরমাণু শক্তি নিয়ে আমাদের ভয় দেখান, আইএনএস অরিহন্তের সাফল্য তাঁদের জন্য উপযুক্ত জবাব। তিনি বলেন, আইএনএস অরিহন্তের সফলভাবে ‘ডেটারেন্স পেট্রোল’- সম্পূর্ণ হল। ভারতীয় জলসীমার ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক জলসীমার নানা অংশ ঘুরে অরিহন্ত ফিরে এসেছে নির্দিষ্ট বন্দরে। এই দীর্ঘ মহড়ায় সমুদ্রের তলা থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রতিপক্ষের উপরে পরমাণু হামলা চালানোর মহড়াও অত্যন্ত সফল ভাবে সম্পন্ন করেছে নিউক্লিয়ার সাবমেরিনটি।

উল্লেখ্য, পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের ইঞ্জিনের শব্দ অত্যন্ত কম। ফলে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে খুব নীরবে হানা দিতে পারে। প্রতিপক্ষের রাডারকে ফাঁকি দিতেও এ সাবমেরিনগুলো দক্ষ। ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষের ভূখণ্ডের কাছাকাছি গিয়ে কোথায় ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করতে পারে এসব সাবমেরিন।

আইএনএস অরিহন্ত থেকে আপাতত দুই রকমের পরমাণু অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যাবে। ‘সাগরিকা’ এবং ‘কে-৪’। সাগরিকা ৭৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং আর কে-৪ ৩৫০০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে পরমাণু হামলা চালাতে পারবে।