Friday, May 3, 2024
রাজ্য​

জবরদস্তি করে পাগড়ি খুলে শিখ সমাজের অপমান করায় গর্জে উঠলেন হরভজন সিং

কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানে বলবিন্দর সিংয়ের (Balvinder Singh) পাগড়ি টেনে-হিঁচড়ে খুলে নেয় পুলিশ। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বলবিন্দর সিংকে ঘিরে ধরে মারছেন পুলিশকর্মীরা। বলবিন্দর মাটিতে পড়ে গেলেও চলতে থাকে মারধর। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ই ধস্তাধস্তিতে বলবিন্দরের মাথার পাগড়িটি খুলে যায়।

এই ঘটনায় শিখ জাতিকে অপমান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে শিরোমনি অকালি দল। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিংও (Harbhajan Singh) এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার দোষীদের শাস্তির দাবিতে মামলা দায়ের করার দাবি জানিয়েছে শিরোমনি অকালি দল।


এভাবে পাগড়ি খোলায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিখ সমাজের একাংশ। তাঁদের মতে, এভাবে একজন শিখের মাথা থেকে পাগড়ি খুলে নেওয়া গোটা সম্প্রদায়কে অপমানের সমান। অবিলম্বে দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মমতার উদ্দেশে টুইট করেন অনেকে।

উল্লেখ্য, বলবিন্দর সিংয়ের কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। বলবিন্দর বিজেপি যুব মোর্চার নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের দেহরক্ষী। তাঁর পিস্তলটি জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, একজন দেহরক্ষীর কাছে বন্দুক থাকাটা স্বাভাবিক বিষয়। মমতা সরকার দেহরক্ষীর কাছে থাকা বন্দুক নিয়েও ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তোলার চেষ্টা করছে।

এদিকে হাওড়া সিটি পুলিশ (Howrah City Police) সাফ জানিয়েছে, বলবিন্দরের পিস্তলটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকই। তবে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির জেলাশাসকের দফতর থেকে সেটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে অস্ত্রটি জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই। তাই ওই বন্দুকটি হাওড়ায় নিয়ে আসাই সম্পর্ণ বেআইনি।