Sunday, May 5, 2024
রাজ্য​

‘আমার এলার্জি শুরু হয়ে গিয়েছে’, বাজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হারের পর ভেঙে পড়লেন রোশনি আলি

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পরিবেশ দূষণের কথা বিবেচনা করে কালীপুজো ও দীপাবলিতে পশ্চিমবঙ্গে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সমাজকর্মী রোশনি আলি (Roshni Ali)। কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলার রায়ে পশ্চিমবঙ্গে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) দ্বারস্থ হয় বাজি প্রস্তুতকারকরা। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু ক্ষতিকারক বাজে ব্যবহার করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের এই রায়ে কার্যত ভেঙে পড়েছেন রোশনি আলি। তিনি বলেছেন, ‘আমি হেরে গিয়েছি। ইচ্ছে ছিল পরিবেশকে বাঁচানোর। মাস কয়েক আগে অক্সিজেন না পেয়ে দেশের বহু মানুষ মারা গিয়েছিলেন। তাদের কথা মাথায় রেখে চেয়েছিলাম কালী পুজোয় যেন পরিচ্ছন্ন বাতাস পাই।’

উল্লেখ্য, দীপাবলির পরে রাজধানী দিল্লির সহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাতাসে ক্ষতিকর পদার্থ পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। বাজির সেই ক্ষতিকারক প্রভাবের কথা মনে করিয়ে দিয়ে রোশনি বলেন, ‘আমার ইতিমধ্যেই এলার্জি শুরু হয়ে গিয়েছে। বাড়ির বয়স্ক আপাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে। বাজি পোড়ানো কি সমাজের জন্য মঙ্গল?’

এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার পরপরই নেটিজেনদের একাংশের রোষানলে পড়েন রোশনি আলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন তারা। এ প্রসঙ্গে রোশনি আলি বলেন, ‘সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির যোগ রয়েছে। একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে নতুন সময়ের জন্য যেন এগোতে পারি।’

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। রোশনি আলি বলেন, ‘বাজি ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু মানুষের জীবনের থেকে এটা দামি নয়। এটা আমার একার যুদ্ধ নয়। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলাম। মানুষ সচেতন হোক। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাখছেন। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভেবে দেখা উচিত।’