Sunday, May 19, 2024
দেশ

পাটনায় মোদীর জনসভায় বিস্ফোরণ মামলায় ৪ অপরাধীর ফাঁসির আদেশ

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ২০১৩ সালে পাটনার গান্ধী ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী সভায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের (2013 Patna Gandhi Maidan Blasts) ঘটনা ঘটে। সেই বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ৪ অপরাধীকে ফাঁসির সাজা দিল বিশেষ এনআইএ আদালত। ২০১৩ সালে পাটনার গান্ধী ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী সভা ছিল। সেই সময় বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনী সভা শুরুর আগে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে নিহত হন ৬ জন। আহত হন ৯০ জনের বেশি। ৯ অপরাধীদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

ফাঁসির সাজা পাওয়া ৪ জন হলেন—হায়দার আলি, নোমান আনসারি, মহম্মদ মুজিবুল্লা, ইমতিয়াজ আলম। জানা গিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব করেছেন বিচারক। তারা হলেন উমর সিদ্দিকি এবং আজহারউদ্দিন কুরেশি। তাদের দু’জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত।

মোট ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। একজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ারা হলেন হায়দার আলি ওরফে ‘ব্ল্যাক বিউটি’, নামান আনসারি, মুজিবুল্লাহ আনসারি, ইমতিয়াজ আলম, আহমেদ হুসেন, ফিরোজ আসলাম, ইমতিয়াজ আনসারি, ইফতিকার আলম, উমর সিদ্দিকি এবং আজহারউদ্দিন কুরেশি।

২০১৩ সালে ধারাবাহিক ওই হামলায় অল্প সময়ের মধ্যেই ৭টি বোমা বিস্ফোরিত হয়। প্রথম বোমা বিস্ফোরণ পাটনা রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঘটে। বাকিগুলো গান্ধী ময়দানে এবং এর আশেপাশে ঘটে। মোদীর ভাষণমঞ্চ থেকে ১৫০ মিটার দূরেও বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। বেলা ১২.২৫ নাগাদ শেষ বোমাটি ফাটে, তার ঠিক ২০ মিনিট পর মোদী এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ৪টি তাজা বোমা সভাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়।

এই বোমা হামলার মূল চক্রী হায়দার আলি ওরফে ব্ল্যাক বিউটি, তৌফিক আনসারি, মজিবুল্লা এবং নামান আনসারিকে ২০১৪ সালে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাদের মাথার দাম ৫ লাখ টাকা ঘোষণা করেছিল এনআইএ।