Wednesday, May 15, 2024
আন্তর্জাতিক

ওড়াকান্দির মতুয়া মন্দিরে পুজো দিলেন মোদী

গোপালগঞ্জ: দু’দিনের বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে ওড়াকান্দিতে মতুয়া মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন নমো। ওড়াকান্দিতে উলু ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে এবং ডঙ্কা ও কাঁসা বাজিয়ে মতুয়া ধর্মাবলম্বীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বরণ করে নেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে ওড়াকান্দিতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিসতুতো দাদা সাংসদ শেখ সেলিম।

শনিবার সকালে সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পুজো সেরে বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় যান মোদী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ২০ কিলোমিটার দূরে কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পৌঁছন তিনি।

মোদী বলেন, কয়েক বছর ধরে এই পবিত্র দিনের অপেক্ষা করছিলাম আমি। ২০১৫ সালে যখন আমি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলাম তখন থেকেই এখানে আসার ইচ্ছা ছিল আমার। আজ সেই ইচ্ছা পুরণ হল। আজ আমি নিয়মিতভাবে হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুগামীদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের বড়মার স্নেহ মায়ের মতো। পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগর থেকে বাংলাদেশের ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত একই রকমের শ্রদ্ধা রয়েছে। একই রকমের অনুভূতি রয়েছে। আমি ১২০ কোটি ভারতবাসীর তরফে আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছি।


মোদী আরও বলেন, সংস্কৃতির দিক থেকে হরিচাঁদ ঠাকুরের বার্তা বহু দশক থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে মজবুত করছে। এই জায়গা ভারত ও বাংলাদেশের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থক্ষেত্র। ভারত ও বাংলাদেশ নিজেদের বিকাশ ও প্রগতির চেয়ে সমগ্র বিশ্বের উন্নতি দেখতে চায়। সন্ত্রাস ও অস্থিরতার পরিবর্তে শান্তি চায় উভয় দেশ। এই শিক্ষাই আমাদের হরিচাঁদ ঠাকুর দিয়েছেন। এই মূল্যবোধ ও শিক্ষার জন্য নিজের জীবন সমর্পিত করেছিলেন তিনি। সংসদে শান্তনু ঠাকুর আমার সহযোগী। আমার থেকে বয়সে ছোট হলেও তাঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছি।

পাশাপাশি, ওড়াকান্দিতে ভারত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করবে বলে ঘোষণা দেন মোদী। এছাড়া একটি মিডিল স্কুলের উন্নয়নও করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।