বিজেপি নেতার কাছে সাহায্য চেয়ে মমতার ফোন, কিসের ইঙ্গিত?
নন্দীগ্রাম: শনিবার রাজ্যে প্রথম দফায় ৫ জেলার ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সামনে এল বিস্ফোরক অডিও ক্লিপ। যেটি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পালের কথোপকথন বলে অনেকে দাবি করেছেন।
ওই কল রেকর্ডটি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে ক্যালকাটা নিউজ (Calcutta News)। যদিও CN বলেছে, তাঁরা এই কল রেকর্ডের সত্যতা যাচাই করিনি। তবে ওই বিজেপি নেতার দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থণা করেছেন।
ওই কল রেকর্ডে শোনা যাচ্ছে, মহিলা কণ্ঠ বলছেন, এবার একটু আমাদের সাহায্য করে দাও না। তুমি দেখবে কোনও অসুবিধা হবে না। জবাবে প্রলয় পাল বলেন, দিদির জন্য তিনি হোম যজ্ঞ করেছিলেন। সিপিএমের হাতে মার খেয়েছিলেন। তাও তাঁর গোটা পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে ছিল। কিন্তু সেই তিনিই একটা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পাননি।
উত্তরে ওই মহিলা কণ্ঠ বলছেন, তাঁকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে দেওয়া হত না। তিনি আগে খবর রাখতেন না। এখন সব খবর রাখেন। তোমার সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায় হয়েছে। তবে বিজেপি নেতা বিনয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন, তিনি মমতাকে সাহায্য করতে পারবেন না। এও জানিয়ে দেন, চল্লিশ বছর ধরে শিশিরবাবুদের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক। যখনই বিপদে পড়েছেন, অধিকারী পরিবার সাহায্য করেছে।
মহিলা কণ্ঠ জোর দিয়ে বলেন, এখন যাঁরা বিজেপির নেতা তাঁরা কি অনেস্ট? জবাবে প্রলয় বলেন, তিনি মনে করেন তাঁরা অনেস্ট। কারণ তাঁর বিপদে তাঁরাই পাশে দাঁড়িয়েছিল। দিদিকে তিনি এও জানিয়ে দিচ্ছেন, তৃণমূল থেকে তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। এখন যে দল করেন সেই দলের হয়েই লড়বেন। বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারবেন না।
প্রলয়বাবু ফোন কলে বলেন, আপনি এত বড় নেত্রী হয়ে আমায় ফোন করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। আমাকে ক্ষমা করবেন। অপারগতা কথা শুনে ওই মহিলা কণ্ঠ বলেন, তবু একবার ভেবে দেখো। প্রলয় পাল জানতে চান কেন কেউ কোনও দিন তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারেনি। তিনি দাবি করেন, ভবিষ্যতেও পারবে না।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রলয় পাল বলেন, সিপিএমের চরম অত্যাচারের দিনেও অধিকারী পরিবার আমাদের পাশে ছিল। তাঁদের সঙ্গে বেইমানি করতে পারবো না। আমি বিজেপিতে যোগদান করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলিনি। আমরা বিজেপি করি দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

