Saturday, May 18, 2024
আন্তর্জাতিক

জোর করে প্রতি শুক্রবার উইঘুর মুসলিমদের শুয়োরের মাংস খাওয়াচ্ছে চিন

বেইজিং: প্রতি শুক্রবার উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক শুয়োরের (Pork) মাংস খেতে বাধ্য করছে চিন। এমনটাই জানালেন, সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর নারী সায়রাগুল সাউথবে (Sayragul Sautbay)। চিনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিয়ানজিয়ান প্রদেশের একটি পুনর্শিক্ষণ শিবির থেকে দুই বছর আগে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। আটককালে তাদের উপর চালানো সহিংসতা, অপদস্ত-অপমানের কথা জানিয়েছেন তিনি।

দুই সন্তানের জননী সায়রাগুল সাউথবে পেশায় একজন চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ। বর্তমানে সুইডেনে বসবাস করছেন তিনি। সম্প্রতি তার একটি বই প্রকাশ হয়েছে। যাতে বন্দীশিবিরে তাদের উপর করা নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন, জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণসহ নানাধরনের নৃশংসতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

বই প্রকাশের পর একটি সাক্ষাৎকারে সায়রাগুল সাউথবে বলেন, ওই ক্যাম্পে প্রতি শুক্রবার আমাদের জোর করে শুয়োরের মাংস খাওয়ানো হত। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অনুভূতি আঘাত করতেই শুক্রবার অর্থাৎ জম্মুবারকেই বেছে নিয়েছিল চিন প্রশাসন। কেউ ওই মাংস খেতে না চাইলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হত।

সায়রাগুল সাউথবে বলেন, বন্দিশালায় কি খাবেন, আর কি খাবেন না, তা আপনি নির্ধারণ করতে পারবেন না। বেঁচে থাকার জন্য শুয়োরের মাংস খেতে আমরা বাধ্য হয়েছি। শুয়োরের মাংস খাওয়ার সময় আমার যে কতটা খারাপ লাগতো, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, জিনজিয়ানে চিনের তৈরি আটক কেন্দ্র ১০ লাখের বেশি উইঘুরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য মতে, সংখ্যা টা ৩০ লাখেরও বেশি। তবে এসব দাবি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চিন। তাদের দাবি, আটক কেন্দ্র নয়, এগুলো ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার। যেখানে উইঘুরদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হাতে কলমে দক্ষতা বাড়াতে নতুন নতুন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।