Friday, May 3, 2024
দেশ

বাজপেয়ী না থাকলে প্রধানমন্ত্রীই হতে পারতেন না নরেন্দ্র মোদী!

নয়াদিল্লি: ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী না থাকলে প্রধানমন্ত্রীই হতে পারতেন না নরেন্দ্র মোদী! কেননা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জীবনের এক সময় রাজনৈতিক জীবন ত্যাগ করে অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছিলেন। সেই সময় মোদী আমেরিকায় পড়াশোনা করছিলেন। সেই সময়ই আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। বাজপেয়ী যখন জানতে পারেন যে মোদী রাজনীতি ছেড়ে সেখানে রয়েছেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ডেকে পাঠান ৷ মোদীকে তিনি বলেন, এইভাবে পালিয়ে কাজ হবে না, কতদিন এখানে থাকবে? দিল্লি এসো…’

প্রবীণ সাংবাদিক বিজয় ত্রিবেদীর ‘হার নেহি মানুঙ্গা-অটল এক জীবন গাথা’ বইয়ে ১২ নম্বর অধ্যায়ে এই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। বাজপেয়ী ও মোদীর আমেরিকার সাক্ষাৎকারের পরে মোদী দিল্লিতে ফিরে আসেন। অশোক রোডের পুরনো অফিসে মোদীকে একটি ঘর দেওয়া হয়। সেখান থেকে সংগঠন আরও শক্তিশালী করার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। সেই সময় গুজরাটে কেশুভাই পটেলের বিরোধীদের সমর্থন করার অভিযোগে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সেই সময় মোদী যে ঘরে থাকতেন সেখানে কেবল একটি চৌকি ও দুটি চেয়ার ছিল বলে জানা যায়।

২০০১ সালের অক্টোবর মোদীর কাছে বাজপেয়ীর ফোন আসে। তাকে দ্রুত দেখা করার জন্য ডাকা হয়। ২০০০ সালে গুজরাটে আহমেদাবাদ ও রাজকোটের পুরসভা নির্বাচনে হেরে যায় বিজেপি। ২০০১ সেপ্টম্বরে বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনেও হেরে গিয়েছিল বিজেপি। পার্টির হাইকমান্ডের মনে হয় এরকম চললে ২০০৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যেতে পারে বিজেপি। তাই কেশুভাই পটেলকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাজপেয়ীর সম্মতিতে ২০০১ অক্টোবর ৭ মোদীকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। এখান থেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাস্তা খুলে যায় মোদীর জন্য।