সংসদে T-২০ ব্যাটিং নমোর, ভাষণের ১০টি বিষয় যা আপনার জানা উচিত
নয়াদিল্লি: সংসদে বিরোধী জোটকে প্রবল আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী মহাজোট আসলে একটি ‘মহামিলাওয়াত’ অর্থাৎ নেহাতই ‘মহাভেজাল’ ও মানুষ সর্বাগ্রে এই অশুদ্ধ জোটকে প্রত্যাখ্যান করবেন, বলে মন্তব্য করেছেন মোদী।
মোদীর দীর্ঘ লোকসভা ভাষণের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট:
১. জাতীয় স্বার্থ সর্বোপরি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছি এবং তেজ গতিতে কাজ করার জন্য সর্বক্ষণ চেষ্টা করছি।
২. বিফোর (আগের) কংগ্রেস ও আফটার ডায়নাস্টি (পরিবারতন্ত্র) ছাড়া আর কিছুই দেখতে পান না কংগ্রেসি বন্ধুরা। পরিবারতন্ত্র আসার পর সব কিছু হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।
৩. কংগ্রেসের শাসনকালে প্রায় ১০০ বার ৩৫৬ ধারার দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
৪. যাঁরা বলেন মোদী সরকার কেবলমাত্র ধনীদের জন্য তাঁদের উদ্দেশ্যে মোদীর বার্তা দেশের গরীব, নিপীড়িত মানুষই আমার ধনী; তাঁদের জন্যই নির্বাচনে জিতে এই জায়গায় এসেছেন তিনি ও তাঁর জীবনের উদ্দেশ্যই তাঁদের উন্নয়ন।
৫. একজোট হতে কলকাতায় মিলিত হলেন সবাই। আবার উত্তরপ্রদেশ থেকে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কেরলে আবার অন্য সমীকরণ। রাজনীতি হোক উন্নয়নের। কংগ্রেসের ৫৫ বছর শাসন, আমাদের ৫৫ মাস সেবার শাসন। নীতি স্পষ্ট সৎ উদ্দেশ্য ও নিষ্ঠা অটল থাকলে ২৪ ঘণ্টাই দেশের কল্যাণ করা যায়। বাধা আসবে। তবে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে চলছি।
Speaking in the Lok Sabha. Watch. https://t.co/ktQonjsCue
— Narendra Modi (@narendramodi) 7 February 2019
৬. আগে ভারতকে কেউ পাত্তা দিত না। এখন প্যারিসে পরিবেশ সম্মেলনের আগে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন, সৌদি আরব-ইরানের মতো চিরশত্রুদের একসঙ্গে নিয়ে কাজ করছে ভারত।
৭. নোটবন্দির পর ৩ লাখ ভুয়ো কোম্পানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিদেশ থেকে অর্থ আসত। সীমান্তের গ্রাম থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় প্রভাব ছড়ানোর উদ্দেশ্যে টাকা ওড়ানো হত। সর্দার সরোবর বাঁধ শিলান্যাস করেছিলেন নেহরু। আমি উদ্বোধন করেছি।
৮. গত চারবছরে ৩৬ লাখ বড় ট্রাক ও বাণিজ্যিক যান বিক্রি হয়েছে। বিক্রিত হয়েছে ২৭ লাখেরও বেশি অটো। পরিবহণ ক্ষেত্রে চারবছরে দেড় কোটি কর্ম সংস্থান হয়েছে। অনুমোদিত হোটেলের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। দেড় কোটি নতুন চাকরি হয়েছে।
৯. সেনাকে নিরস্ত্র করে দিয়েছিল কংগ্রেস। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও ছিল না। যোগাযোগ যন্ত্র, হেলমেট, জুতো কিছুই ছিল না। ২০০৯ সালে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট দাবি করেছিল সেনা। ৫ বছর বাদেও তা পূরণ হয়নি। ক্ষমতায় এসে ১ লাখ ৮৬ হাজার জ্যাকেট পৌঁছে দিয়েছি।
১০. ৫৫ বছর শাসনে ছিল ক্ষমতাভোগীরা। ৫৫ মাসের সেবার সরকার শাসনে থাকায় দেশ বদলে দিয়েছে। দশম-একাদশ স্থান থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত।