Sunday, May 19, 2024
দেশ

চিনা পণ্য বর্জন করতে তৎপর হল মোদী সরকার, শিল্পমহলের কাছে আমদানি পণ্যের তালিকা চাওয়া হল

নয়াদিল্লি: ১৫ জুন পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এছাড়া ৭৬ জন জওয়ান জখম হয়েছেন। এই ঘটনার পরে ভারতে চিনা পণ্য বয়কটের দাবি জোরালো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিনের পতাকা ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি পোড়ানোর পাশাপাশি সমস্ত চিনা পণ্য ব্যবহার বন্ধ করার দাবি উঠেছে। এবার চিনা পণ্য বর্জনের জন্য উদ্যোগী হল কেন্দ্র৷

লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতেই চিনা পণ্যের উপর নির্ভরতা কমাতে তৎপর হল মোদী সরকার৷ কেন্দ্রের তরফে দেশের শিল্পমহলের কাছে আমদানি পণ্যের তালিকা চাওয়া হল। এছাড়া উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর সংক্রান্ত কি কি অসুবিধা রয়েছে, তাও শিল্পমহলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। মোদী মনে করছে, এর ফলে চিন থেকে নিম্নমানের বহু পণ্যের আমদানি কমানো যাবে। সেই সাথে দেশীয় পণ্য উৎপাদনের পরিমাণও বাড়বে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করবে৷

এর আগে চিনের উহান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক ওঠ। এরপরে গালওয়ান সংঘাতের পর সেই দাবি আরও জোরাল হল। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি একটি বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে চিনা পণ্যের উপরে নির্ভরতা কিভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়৷

উল্লেখ্য, ভারতের মোট আমদানির প্রায় ১৪ শতাংশ এখন চিনের দখলে৷ চিনা মোবাইল ফোন, টেলিকম, শক্তি ক্ষেত্র, প্লাস্টিকের খেলনা এবং ওষুধের কাঁচামালের জন্যই চিনের উপর বেশি নির্ভরশীল ভারত৷ ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিন থেকে ৬২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে ভারত৷ এই সময়ে ভারত থেকে চিনে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ এই বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতির জন্য বরাবরই উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। তাই এবার চিনা পণ্যের আমদানি কমাতে চাইছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে শিল্প মহলের মতামত এবং পরামর্শ জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷