৭ রাজ্যে অমুসলিম উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করে দিল মোদী সরকার
নয়াদিল্লি: গত লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার আগেই পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিষয়টি এখনও যৌথ সংসদীয় কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে। তবে এর মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৭টি রাজ্যের ১৬টি জেলায় পড়শি দেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করে দিল কেন্দ্রের মোদী সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারেই জেলা শাসকেরা এই কাজ করতে পারবেন। আপাতত ৭টি রাজ্যের ১৬টি জেলায় থাকা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেবার নির্দেশ দেওয়া হযেছে। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে যে ১৬টি জেলার জেলা শাসকদের নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, অসম বা ত্রিপুরার মতো বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্যের কোনও জেলা নেই।
Government approves granting citizenship to minorities from neighbouring countrieshttps://t.co/3AfKv6Kb3m pic.twitter.com/VSPYVPRLwz
— Hindustan Times (@htTweets) 26 October 2018
যে সব রাজ্যের জেলাগুলিতে থাকা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে সেগুলি হল- পূর্ব ও দক্ষিণ দিল্লি, ছত্রিশগড়ের রায়পুর, গুজরাটের আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর ও কচ্ছ, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও ইন্দোর, মহারাষ্ট্রের নাগপুর, মুম্বাই, পুণে ও থানে, রাজস্থানের যোধপুর, জয়পুর ও জয়সলমির, উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ।
নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের যে প্রস্তাব সরকার সংসদে এনেছে তাতে বলা হয়েছে, উদ্বাস্তুরা ৬ বছর বা তার বেশি ভারতে বসবাস করলেই ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগের আইনে সময়সীমা বলা হয়েছিল ১২ বছর বা তার বেশি সময় থাকলে আবেদন করা যাবে।
পাঁচ রাজ্যে ভোট ঘোষণার পরেও সরকারের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। দলের কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়বীর শেরগিলের মতে, হিন্দু ও শিখ ভোট পেতেই এই সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে পাঁচ রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করবে।