স্বাধীনতার পরে ফিরহাদই হতে চলেছেন কলকাতা প্রথম সংখ্যালঘু মেয়র
কলকাতা: মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর কলকাতার মেয়র পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীর হাত দিয়ে মমতার কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। কলকাতার পরবর্তী মেয়র হচ্ছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র হচ্ছেন অতীন ঘোষ। স্বাধীনতার পরে মেয়রের আসনে ফিরহাদই হতে চলেছেন প্রথম সংখ্যালঘু মেয়র। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্টই কাজে লাগবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
মন্ত্রিসভা থেকে শোভনের ইস্তফা দেওয়ার ৪৮ ঘন্টাও মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকালে উত্তীর্ণ সভাঘরে পুরসভার পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সর্বসম্মত ভাবে কলকাতার মেয়র নির্বাচিত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে উত্তীর্ণে হওয়া বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়তে চলেছে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা কলকাতায় তৃণমূলের ১২৩ জন কাউন্সিলরের।
Elected Trinamool councillors propose @FirhadHakim‘s name for leader of party at #Kolkata Municipal Corporation. Ateen Ghosh’s name proposed for deputy leader
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) 22 November 2018
মেয়র হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করার পর ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, তিনি দলের সৈনিক। ফলে দল যে দায়িত্ব দেবে সেই দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ফিরহাদ হাকিমকে মেয়র পদে বেছে নেওয়া হলেও, তিনি কাউন্সিলর নন। তাই ফিরহাদ হাকিমের জন্যই বৃহস্পতিবার কেএমসির আইনে সংশোধন করা হয়। ফলে মেয়র পদে শপথ নেওয়ার দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও ওয়ার্ড থেকে জিতে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, এমন কাউকে মেয়র পদে বসানো হোক যার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তৃণমূল বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই চিন্তাভাবনা থেকেই ফিরহাদ হাকিমকে বেছে নেয়া হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম বর্তমানে পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি দেখেন আবাসন দপ্তরও। সেদিক থেকে কলকাতার মতো মেট্রোপলিটান শহরে তার কাজে সুবিধা হবে বলেই মন্তব্য করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, প্রাক স্বাধীনতা পর্যায়ে আবুল কাসেম ফজলুল হক (১৯৩৫-৩৬), আব্দুর রহমান সিদ্দিকি (১৯৪০-১৯৪১), সইদ বদরুজ্জা (১৯৪৩-৪৪), সাইদ মো. উসমানের (১৯৪৬-৪৭) মতো সংখ্যালঘু নেতারা মেয়র হলেও স্বাধীনতার পর ফিরহাদ হাকিমই হতে চলেছেন কলকাতার প্রথম সংখ্যালঘু মেয়র।