চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-২
বেঙ্গালুরু: সফলভাবে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেছে চন্দ্রযান-২। ইসরো জানিয়েছে, মহাশূন্যে প্রায় ৩০ দিনের যাত্রা শেষ করেছে মহাকাশযানটি। এ অভিযানের অন্যতম কৌশলী পদক্ষেপ ছিল চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছানো। প্রত্যাশার চেয়ে বেশী গতিবেগ হলে তা মহাশূন্যে হারিয়ে যেত, আবার কম গতিবেগ হলে চাঁদের কক্ষপথে আছড়ে পড়ত চন্দ্রযান-২। চন্দ্রযানের বেগ এবং উচ্চতা একেবারে সঠিক হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। ছোট্ট একটি ভুলের কারণে পুরো অভিযানটি ভেস্তে যেতে পারত।
চন্দ্রযান-২ নিয়ে ইসরোকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইসরো জানিয়েছে, এরপর ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি কক্ষপথে যেতে হবে চন্দ্রযানটিকে। এর মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে শেষ কক্ষপথে পৌঁছাবে যানটি। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-২ চাঁদের মেরুর নরম মাটিতে পৌঁছাবে। চন্দ্রযান-২ চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়াটি খুব জটিল ছিল। কারণ, এটি প্রতি ঘণ্টায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে ছুটেছে।
#ISRO
Lunar Orbit Insertion (LOI) of #Chandrayaan2 maneuver was completed successfully today (August 20, 2019). The duration of maneuver was 1738 seconds beginning from 0902 hrs ISTFor more details visit https://t.co/FokCl5pDXg
— ISRO (@isro) August 20, 2019
Congratulations to Team @isro on #Chandrayaan2 entering the Moon’s orbit. This is an important step in the landmark journey to the Moon.
Best wishes for its successful culmination.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 20, 2019
ইসরোর উপগ্রহ সেন্টারের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃ আন্নাদুরাই বলেন, এটা খানিকটা এমন. যে, ঘন্টায় প্রায় ৩,৬০০ কিলোমিটার বেগে নাচছেন এক মহিলা, তাঁর কাছে গোলাপফুল হাতে যাচ্ছেন এক ভদ্রলোক (এই গতিবেগ বিমানের গতির প্রায় পাঁচগুণ), তাও আবার ঘরের কাছে নয়, ৩.৮৪ লাখ কিলোমিটার দূরে। যদি ওই জুটির মিলন হতে হয়, তাহলে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান এবং নির্ভুল হতেই হবে।
চন্দ্রযান-২-এর সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে চাঁদে অভিযান চালানো মাত্র চতুর্থ দেশ হবে ভারত। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিন চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-২। এই মিশনটিতে খরচ ১,০০০ কোটি টাকা, অন্যান্য দেশের খরচের তুলনায় অনেকটাই কম।