Saturday, May 4, 2024
আন্তর্জাতিক

মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আটকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের শরীরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ ইরানের বিরুদ্ধে

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: হিজাব ইস্যুতে এখনও উত্তাল ইরান। পুলিশের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে বহু আন্দোলনকর্মীর। কয়েক শ’ আন্দোলনকর্মীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। এবার নারীশিক্ষা রুখতে মেয়েরা যাতে স্কুলে না যেতে পারে তার জন্য ছাত্রীদের শরীরে ইচ্ছাকৃতভাবে বিষক্রিয়া ঘটানোর অভিযোগ উঠলো ইরানের বিরুদ্ধে (Girls Poisoned In Iran)। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন খোদ ইরানের ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি।

সম্প্রতি ইরানের একাধিক শহরের বিভিন্ন স্কুলের শ’ খানেক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের বিষ খাওয়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে তিনিছেন ইরানের ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি।

তিনি বলেন, ‘কায়ুম শহরের একাধিক স্কুলে ছাত্রীদের শরীরে বিষক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। তদন্তে দেখা গেছে, কিছু লোকজন চাইছিল স্কুল বন্ধ করে দিতে, বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলগুলি।’

ইউনেস পানাহি আরও বলেন, “ছাত্রীদের শরীরে যে বিষ দেওয়া হয়েছে সেগুলি যুদ্ধে ব্যবহৃত রাসায়নিক নয়। এর জন্য শিক্ষার্থীদের জটিল কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তাদের সকলের চিকিৎসা চলছে।’

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ নুরী স্কুলছাত্রীদের বিষ প্রয়োগের প্রতিবেদনকে “গুজব” বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, হাসপাতালে নেওয়া শিক্ষার্থীদের “অন্তর্নিহিত রোগ” ছিল।

তবে রবিবার লোরেস্তানের ডেপুটি গভর্নর মাজিদ মোনেমি বলেছেন, পশ্চিম ইরানের বোরুজার্ডে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ ছাত্রীকে আবারও বিষ দেওয়া হয়েছে।

ইরানের শিক্ষার্থীদের বিষক্রিয়া গত ডিসেম্বরে ধর্মীয় নগরী কোম থেকে শুরু হয় এবং আরও কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়ে।

সরকার বিষক্রিয়ার কারণ জানায়নি, তবে কিছু স্থানীয় মিডিয়া বলছে, এটি ধর্মীয় উগ্রবাদীদের কাজ হতে পারে। যারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চায়।

কিশোরী স্কুলছাত্রীরা গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল এবং প্রতিবাদে অনেকেই তাদের হিজাব খুলে ফেলেছিল।