Thursday, April 25, 2024
দেশ

সিনিয়র দ্বারা হয়রানি, আত্মহত্যা করলেন মেডিক্যাল ছাত্রী প্রীতি, গ্রেফতার অভিযুক্ত সাইফ

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সিরিয়রের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ৪ দিন পরে মারা গেলেন মেডিক্যালের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এই ঘটনায় শুক্রবার তেলেঙ্গানা পুলিশ কাকাতিয়া মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফকে গ্রেফতার করেছে। সাইফের হয়রানির কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ২৬ বছর বয়সী প্রথম বর্ষের ছাত্রী প্রীতি। ৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পরে মারা গিয়েছেন প্রীতি।

ঘটনাটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এসসি/এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে র‌্যাগিং, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, হয়রানির অভিযোগে সাইফকে গ্রেফতার করেছে।

কমিশনার এভি রঙ্গনাথ জানিয়েছেন, প্রীতিকে অবিরাম হয়রানি এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে হেয় করেছিল সাইফ। এদিকে অভিযুক্ত সাইফ যুক্তি দিয়েছিলেন, একটি মেডিকেল কলেজে জুনিয়র এবং সিনিয়রদের মধ্যে র‌্যাগিং প্রচলিত।

প্রীতিকে হায়দরাবাদের নিজামস ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার কার্ডিয়াক, ফুসফুস এবং রেনাল ফাংশন বজায় রাখার জন্য ECMO এবং CRRT চালু করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের একটি দল তাকে পর্যবেক্ষণে রাখে। তবে সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে মারা যায় প্রীতি।

প্রীতি এবং সাইফের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে পুলিশ জানিয়েছে, প্রীতি হয়রানির শিকার হয়েছে।

রঙ্গনাথ বলেছেন, প্রীতি যখন ২০২২ সালের নভেম্বরে অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগে ভর্তি হয়েছিল তখন থেকেই তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তাদের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে, ১৮ ফেব্রুয়ারি, সাইফ একটি নির্দিষ্ট ঘটনার জন্য প্রীতিকে তিরস্কার করেছিলেন।

সে সাইফকে বলেছিল, ব্যক্তিগতভাবে সে ক্ষুব্ধ। নিজের কাজে মন দিতে। আপনি আমাকে অপমান করার চেষ্টা করছেন। যদি আপনার কিছু বলার থাকে, আপনি আমার প্রধানকে বলবেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় প্রীতির বাবা ডি নরেন্দ্র ও তার মেয়ের মধ্যে শেষবার কথা হয়। ডি নরেন্দ্র রেলওয়েতে চাকরি করেন। তিনি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন এবং ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি স্থানীয় সাব-ইন্সপেক্টরের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।

তথ্যসূত্র: Op India