Saturday, May 18, 2024
জীবনযাপন

সারাদিন বসে থাকার ক্ষতিকারক দিকগুলো ও করণীয়

আধুনিকীকরণের ফলে আমাদের শারীরিক পরিশ্রম কমে গিয়েছে অনেকটাই। সারা দিন বসে থাকলে কষ্ট কম হয় ঠিকই, তবে আমাদের অজান্তেই শরীর অনেকটাই খারাপ হয়ে পড়ে। যার থেকে শরীরে বাসা বাঁধে নানা ধরনের অসুখ। যার ফলে শরীরে জন্ম নেয় হয় নানা ধরনের ব্যধি। এগুলোর হাত থেকে বাঁচতে সতর্ক হতে হবে একদম প্রথম থেকেই। তাই জেনে নেওয়া যাক সারা দিন বসে-বসে কাজ করার ক্ষতিকারক দিকগুলো এবং এর থেকে বাঁচার উপায়গুলি।

সারাদিন বসে কাজ করার ক্ষতিকর দিকগুলো:-

১. আমরা প্রতিদিন অফিসে গড়ে প্রায় ৯-১০ ঘণ্টা বসে থাকি। এর ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ সঠিক নিয়মে কাজ করা বন্ধ করে দিতে থাকে।
২. যাঁরা দিনে ৬ ঘণ্টার বেশি বসে থাকেন তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি, যাঁরা দিনে ৩ ঘণ্টার কম সময় বসে কাজ করেন তাঁদের চেয়ে অন্তত ৪০% বেশি হয়।
৩. অতিরিক্ত বসে থাকার কারণে আমাদের শরীরের মেদ বৃদ্ধি পায়। মূলত পেট ও কোমরের কাছে।
৪. অনেকক্ষণ বসে থাকার কারণে পায়ের স্বাভাবিক নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। যে সকল এনজাইম শরীরের ফ্যাট কমিয়ে আনতে সাহায্য করে সেগুলো নিঃসরণের পরিমাণও ৯০% কমে যায়।
৫. যাঁরা বসে কাজ করেন, তাঁদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেশি। যাঁরা প্রতিদিন তিন ঘন্টার বেশি বসে টেলিভিশন দেখেন, তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৬৪% বৃদ্ধি পায় এবং তাঁরা ব্যায়াম করেও শরীরের ফ্যাট কমাতে পারেন না।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার

অনেকেরই অফিসে প্রায় ৯-১০ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। যেটি স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর। এটা এতটাই খারাপ যে নিয়মিত ব্যায়াম করেও উপকার মেলে না। তবে এর জন্যে ব্যাপক আয়োজনের দরকার নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ঘণ্টায় অন্তত দুই মিনিট হাঁটাচলাতেই উপকার মেলে। তাই যখনই সময় পাবেন চেয়ার থেকে উঠে পড়ুন। হালকা স্ট্রেচিং করুন বা হেঁটে আসুন। ফোনে কথা বলার সময়ে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়ুন। সামনের দিকে ঝুঁকে বসা বা সোজা হয়ে বসার থেকে ১৩৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গল বা হেলান দিয়ে বসলে মেরুদণ্ডের উপর চাপ কম পড়ে। মাঝেমধ্যে ওইভাবে বসার চেষ্টা করুন। কোমরে ও ঘাড়ের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।