Wednesday, May 15, 2024
রাজ্য​

বাংলা নয়, ওড়িশায় আঘাত হানবে ইয়াস, তবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রভাব পড়বে

কলকাতা: আমফানের স্মৃতি এখনো তরতাজা। গতবছর ঘূর্ণিঝড় আমফান লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। সেই স্মৃতিকে উস্কে দিয়ে এবার আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas Cyclone)। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সাফ জানালো, পশ্চিমবঙ্গ নয়, ওড়িশায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ নয়, ওড়িশায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। বুধবার দুপুরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘার মধ্যে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। তারপর ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাবে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। প্রভাব পড়বে উপকূলবর্তী এলাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। প্রভাব পড়বে ঝাড়গ্রামে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উপকূল বাদ দিলে রাজ্যের অন্য জেলায় ঘূর্ণিঝড় তেমন প্রভাব পড়বে না। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়টি ১৬ ডিগ্রি ৮ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯ ডিগ্রি ৫ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৬৭০ কিলোমিটার উত্তরে উত্তর-পশ্চিম, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার রাতে ইয়াস আরও শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সকালের মধ্যে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার স্থলভাগে আঘাত হানবে। বুধবার দুপুরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মধ্যে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে।

বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বাতাসের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারে। বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র ভূ-ভাগে আঘাত হানার সময় ওড়িশা উপকূলে বাতাসের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ – ১৬৫ কিলোমিটার। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বাতাসের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ -১০০ কিলোমিটার। হাওড়া, হুগলিতে হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ – ৮০ কিলোমিটার। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলায় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ – ৬০ কিলোমিটার।