দেশ বিভাজনের সময় আফগানিস্তানে প্রায় ৫০ হাজার শিখ ছিলেন, এখন তা কমে মাত্র ২,০০০ : নাড্ডা
কলকাতা: সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বিজেপির পদযাত্রা থেকে দলের কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, আফগানিস্তানে একসময় ৫০ হাজার শিখ ছিলেন। সেই সংখ্যা কমে হয়েছে মাত্র ২০০০। বাংলাদেশ, পাকিস্তানেও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে সংখ্যলঘুদের সংখ্যা। ওঁদের রক্ষা করতেই প্রধানমন্ত্রী নাগরিকত্ব আইন করেছেন। নয়া এই আইনে ভারতীয় কোনও মুসলমানের ভয়ের কোনও কারণ নেই।
পাশাপাশি, জেপি নাড্ডার হুঁশিয়ারি, ২০১৯ লোকসভা ভোটে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি বিজেপিকে দিয়েছে বাংলার মানুষ। এটা ট্রেলার ছিল। এবার পিকচার দেখাবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় নাগরিকপঞ্জি কার্যকর হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এদিন জেপি নাড্ডা বলেন, হবে না, হবে না। সব কিছুরই বিরোধিতা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এনেছেন নরেন্দ্র মোদী। চেয়েছিলেন, বাংলার গরিব মানুষরা যাতে প্রকল্পের সুবিধা পান। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, হবে না।
দেশ বিভাজনের সময় কাবুলে ৫০,০০০ শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস ছিল। আজ তাদের সংখ্যা মাত্র ২০০০।
কোথায় গেলো তারা ? কারা এদের সুরক্ষা দেবে ? : শ্রী @JPNadda #CAAJanJagran pic.twitter.com/yxu9VORkHU
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) December 23, 2019
জেপি নাড্ডা জানান, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে গুরুতর চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকার বিমা পেয়ে থাকেন মানুষ। আপনার সুস্থতা কামনা করি। কারণ ২১-২২ সাল তো দেখতে হবে। আপনি বা আপনার আত্মীয় ইংল্যান্ড বা আমেরিকায় চিকিৎসা করিয়ে নেবে। তবে গরিবদের কী হবে?
নাড্ডা বলেন, ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল। ভারতের মুসলিমরা সমানাধিকার পেয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানে একটা সময় ২০ শতাংশ হিন্দু ছিলেন। এখন তা কমে দাড়িয়েছে মাত্র ৩%। বাকি ২০% কোথায় গেলেন? তাঁরা কি নিখোঁজ হয়ে গেল? নাকি তাঁরা ধর্মান্তরিত হল?