দেশের জাতীয় খাবারের স্বীকৃতি পেতে চলেছে খিচুড়ি
পুজোর ভোগ থেকে বৃষ্টির দুপুরে পছন্দের তালিকায় থাকা খিচুড়িই এবার পেতে চলেছে দেশের জাতীয় খাবারের স্বীকৃতি।
আগামী ৪ নভেম্বর দিল্লির বিজ্ঞান ভবন চত্বরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘ওয়াল্ড ফুড-২০১৭’তে খিচুরিকে জাতীয় খাবারের তকমা দিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশের সেরা শ্যেফদের। দেশের সেরা পাঁচকেরাও ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন। তাঁরা এক হাঁড়িতে ৮০০ কেজি চাল-ডালের খিচুড়ি রান্না করবেন। অনুষ্ঠানে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কর্মকর্তারাও থাকবেন। এর আগে একসঙ্গে ৮০০ কেজি চাল-ডালের খিচুড়ি রান্নার রেকর্ড কোথাও নেই।
ভারতের জাতীয় পশু বাঘ – ক্ষমতার প্রতীকস্বরূপ, জাতীয় ফুল পদ্ম – শুদ্ধতার প্রতীকস্বরূপ, জাতীয় বৃক্ষ বট – চিরন্তনতার প্রতীকস্বরূপ, জাতীয় পাখি ময়ূর – কমনীয়তার প্রতীকস্বরূপ এবং জাতীয় ফল আম – ভারতের ক্রান্তীয় জলবায়ুর প্রতীকস্বরূপ ইত্যাদি থাকলেও নেই জাতীয় খাবারের নাম। তাই জাতীয় খাদ্য হিসেবে খিচুরির নাম প্রস্তাব করেছিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল।
I encourage everyone to head over to the @WorldFoodIndia mega event this weekend for a truly breathtaking experience. #WorldFoodIndia pic.twitter.com/loHiunz6HU
— Harsimrat Kaur Badal (@HarsimratBadal_) October 31, 2017
গোটা অনুষ্ঠানের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়া মন্ত্রক। মন্ত্রকের দাবি, সব শ্রেণির মানুষই খিচুরি খান। স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল। খিচুরি রান্না করতে বেশি সময় লাগে না। পাশাপাশি খরচও কম। ভারতীয় রসনার রাজা খিচুরি। চাল–ডালের সঙ্গে মাছ, মাংস ও ডিমের মিশ্রণেও তৈরি হচ্ছে এই খিচুড়ি। সঙ্গে বেগুন, আলু, পাঁপড় ভাজা রসনা তৃপ্তিতে নতুন মাত্রা দেয়।
পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, বিহার, ওডিশা, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে খাবার হিসেবে খিচুড়ি খুব জনপ্রিয়। ভারতে খিচুড়ির নাম একেক অঞ্চলে একেক রকম। দক্ষিণ ভারতে আবার খিচুরি পোঙ্গল ও হুগ্গি নামে পরিচিত।