Friday, May 17, 2024
জীবনযাপন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা কয়েকটি উক্তি ও বাণী সমূহ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়।রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়।

তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কিছু উক্তি:

১. স্বার্থ জিনিসটা যে কেবল নিজে ক্ষুদ্র তা নয়, যার প্রতি সে হস্তক্ষেপ করে তাকেও ক্ষুদ্র করে তোলে।

২. যার সঙ্গে মানুষের লোভের সম্বন্ধ তার কাছ থেকে মানুষ প্রয়োজন উদ্ধার করে, কিন্তু কখনো তাকে সম্মান করে না।

৩. সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ কর নি।

৪. দেশ কেবল ভৌগলিক নয়, দেশ মানসিক।

৫. তিক্ত বড়িকে মিষ্টি আকারে গেলানো রাজনীতির নৈপুণ্য।

৬. মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।

৭. বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না।

৮. মানুষ পণ করে পণ ভাঙিয়া ফেলিয়া হাঁফ ছাড়িবার জন্য।

৯. কাঁচা আমের রসটা অম্লরস— কাঁচা সমালোচনাও গালিগালাজ। অন্য ক্ষমতা যখন কম থাকে তখন খোঁচা দিবার ক্ষমতাটা খুব তীক্ষ্ণ হইয়া উঠে।

১০. পরের অস্ত্র কাড়িয়া লইলে নিজের অস্ত্র নির্ভয়ে উচ্ছৃঙ্খল হইয়া উঠে– এইখানেই মানুষের পতন।

১১. মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।

১২. আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।

১৩. বিনয় একটা অভাবাত্মক গুণ। আমার যে অহংকারের বিষয় আছে এইটে না মনে থাকাই বিনয়, আমাকে যে বিনয় প্রকাশ করিতে হইবে এইটে মনে থাকার নাম বিনয় নহে।

১৪. শিশুবয়সে নির্জীব শিক্ষার মতো ভয়ংকর ভার আর কিছুই নাই; তাহা মনকে যতটা দেয় তাহার চেয়ে পিষিয়া বাহির করে অনেক বেশি।

১৫. যে শিক্ষা স্বজাতির নানা লোকের নানা চেষ্টার দ্বারা নানা ভাবে চালিত হইতেছে তাহাকেই জাতীয় বলিতে পারি। স্বজাতীয়ের শাসনেই হউক আর বিজাতীয়ের শাসনে হউক, যখন কোনো একটা বিশেষ শিক্ষাবিধি সমস্ত দেশকে একটা কোনো ধ্রুব আদর্শে বাঁধিয়া ফেলিতে চায় তখন তাহা জাতীয় বলিতে পারি না—তাহা সাম্প্রদায়িক, অতএব জাতির পক্ষে তাহা সাংঘাতিক।

১৬. সুশিক্ষার লক্ষণ এই যে, তাহা মানুষকে অভিভূত করে না, তাহা মানুষকে মুক্তিদান করে।

১৭. বিদ্যা যে দেবে এবং বিদ্যা যে নেবে তাদের উভয়ের মাঝখানে যে সেতু সেই সেতুটি হচ্ছে ভক্তিস্নেহের সম্বন্ধ। সেই আত্মীয়তার সম্বন্ধ না থেকে যদি কেবল শুষ্ক কর্তব্য বা ব্যবসায়ের সম্বন্ধই থাকে তা হলে যারা পায় তারা হতভাগ্য, যারা দেয় তারাও হতভাগ্য।

১৮. কৃতকার্য হবার মতো শিক্ষা যাদের নেই, যারা কেবলমাত্র দৈবক্রমেই কৃতকার্য হয়ে ওঠে, তাদের সেই কৃতকার্যতাটা একটা বিষম বালাই।

১৯. অসম্পূর্ণ শিক্ষায় আমাদের দৃষ্টি নষ্ট করিয়া দেয়—পরের দেশের ভালোটা তো শিখিতে পারিই না, নিজের দেশের ভালোটা দেখিবার শক্তি চলিয়া যায়।

২০. হাল ছাড়ব না, কিন্তু কোন দিক বাগে হাল চালাতে হবে সেটা যদি না ভাবি ও বুদ্ধিসংগত তার একটা জবাব না দিই তবে, মুখে যতই আস্ফালন করি, ভাষান্তরে তাকেই বলে হাল ছেড়ে দেওয়া।

২১. বল বল বল সবে, শত বীণা-বেনু রবে; ভারত আবার জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।

২২. ও আমার দেশের মাটি, তোমার ‘পরে ঠেকাই মাথা। তোমাতে বিশ্বময়ী, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা।

২৩. এসেছি আমি, আমি সেথাকার, দরিদ্র সন্তান আমি দীন ধরণীর। জন্মাবধি যা পেয়েছি সুখদুঃখভার বহু ভাগ্য বলে তাই করিয়াছি স্থির। অসীম ঐশ্বর্যরাশি নাই তোর হাতে, হে শ্যামলা সর্বসহা জননী মৃন্ময়ী। সকলের মুখে অন্ন চাহিস জোগাতে, পারিস নে কত বার — ‘কই অন্ন কই ‘ কাঁদে তোর সন্তানেরা ম্লান শুষ্ক মুখ। জানি মা গো , তোর হাতে অসম্পূর্ণ সুখ।

২৪. আমার এই আমির মধ্যে যদি ব্যর্থতা থাকে তবে অন্য কোনো আমিত্ব লাভ করিয়া তাহা হইতে নিষ্কৃতি পাইব না।

২৫. যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।

২৬. এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি – রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।

২৭. প্রত্যেক দেশের যুবকদের উপর ভার রয়েছে সংসারের সত্যকে নূতন করে যাচাই করে নেওয়া, সংসারকে নূতন পথে বহন করে নিয়ে যাওয়া, অসত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা। প্রবীণ ও বিজ্ঞ যাঁরা তাঁরা সত্যের নিত্যনবীন বিকাশের অনুকূলতা করতে ভয় পান, কিন্তু যুবকদের প্রতি ভার আছে তারা সত্যকে পরখ করে নেবে।

২৮. ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে/ অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।

২৯. নিন্দা করতে গেলে বাইরে থেকে করা যায়, কিন্তু বিচার করতে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।

৩০. অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার ধরিয়া রাখার মত বিড়ম্বনা আর হয় না।

৩১. কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি। তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।

৩২. কেউ বা মরে কথা বলে, আবার কেউ বা মরে কথা না বলে।

৩৩. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেস তৃণসম দহে।

৩৪. যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে।

৩৫. সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট।

৩৬. হঠাৎ একদিন পূর্ণিমার রাত্রে জীবনে যখন জোয়ার আসে, তখন যে একটা বৃহৎ প্রতিজ্ঞা করিয়া বসে জীবনের সুদীর্ঘ ভাটার সময় সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিতে তাহার সমস্ত প্রাণে টান পড়ে।

৩৭. নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে।

৩৮. ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে ও বন্ধু আমার! না পেয়ে  তোমার দেখা,  একা একা  দিন যে আমার কাটে না রে…

৩৯. সংসারের কোন কাজেই যে হতভাগ্যের বুদ্ধি খেলে না, সে নিশ্চয়ই ভাল বই লিখিবে।

৪০. যে ছেলে চাবামাত্রই পায়, চাবার পূর্বেই যার অভাব মোচন হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা। ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোনকালে সুখী হতে পারেনা।

৪১. আমারে তুমি অশেষ করেছ, এমনি লীলা তব। ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ জীবন নব নব।

৪২. আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাইনি তোমায় দেখতে আমি পাইনি। বাহিরপানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয়-পানে চাইনি।

৪৩. ধীরে বন্ধু, ধীরে ধীরে চলো তোমার বিজনমন্দিরে। জানি নে পথ, নাই যে আলো, ভিতর-বাহির কালোয় কালো; তোমার চরণশব্দ বরণ করেছি আজ এই অরণ্যগভীরে।

৪৪. মোর জীবনের গোপন বিজন ঘরে, একেলা রয়েছ নীরব শয়ন ‘পরে; প্রিয়তম হে, জাগো জাগো জাগো।

৪৫. শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়, মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো।

৪৬. কবে আমি বাহির হলেম তোমারি গান গেয়ে, সে তো আজকে নয় সে আজকে নয় (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু নিয়ে উক্তি)। ভুলে গেছি কবে থেকে আসছি তোমায় চেয়ে— সে তো    আজকে নয় সে আজকে নয়।

৪৭. আমরা বন্ধুর কাছ থেকে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই ও সেই জন্যই বন্ধুকে চাই।

৪৮.  গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ।

৪৯. ভুল করার সকল দরজা যদি বন্ধ করে দাও, তা হলে ঠিক করার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়।

৫০. সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ সংক্ষেপ করতে চায় – বিলম্ব তারই অদৃষ্টে আছে।

৫১. রুদ্র, তোমার দারুণ দীপ্তি এসেছে দুয়ার ভেদিয়া; বক্ষে বেজেছে বিদ্যুৎবাণ স্বপ্নের জাল ছেদিয়া।

৫২. ভৈরব, তুমি কী বেশে এসেছ, ললাটে ফুঁসিছে নাগিনী, রুদ্র-বীণায় এই কি বাজিল সুপ্রভাতের রাগিণী?

৫৩. লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই।

৫৪. পৃথিবীতে সকলের চেয়ে বড় জিনিস আমরা যাহা কিছু পাই তাহা বিনামূল্যে পাইয়া থাকি, তাহার জন্য দরদস্তুর করিতে হয় না। মূল্য চুকাইতে হয় না বলিয়াই জিনিসটা যে কত বড় তাজা আমরা সম্পূর্ণ বুঝিতেই পারিনা।

৫৫. সুখী হওয়া খুব সহজ, কিন্তু সহজ হওয়া খুব কঠিন।

৫৬. মানুষের মধ্যে দ্বিজত্ব আছে; মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে। মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে আর এক জন্ম সকলকে নিয়ে।

৫৭. কেবলমাত্র সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে বা জলের দিকে তাকিয়ে থাকলে সমুদ্র পার হওয়া সম্ভব নয়।

৫৮. বেঁধেছ প্রেমের পাশে ওহে প্রেমময়, তব প্রেম লাগি দিবানিশি জাগি ব্যাকুলহৃদয়।

৫৯. ভালোবাসা হল একমাত্র বাস্তবতা, এটি শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি হল একটি চিরন্তন সত্য জা জেই হৃদয়ে সৃষ্টি হয়, সেই হৃদয়ে থাকে।

৬০. কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মরো, সে কি আছে ভুবনে? সে তো রয়েছে মনে।

৬১. সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালোবাসার স্বাদ থাকে না, তরকারিতে লঙ্কামরিচের মতো।

৬২. ভাবছি তোমাকে পাওয়া হয়ে গেলে কি হত। হয়ত তোমাকে দেখতে দেখতে মনটা ভরে যেত, নীল শাড়িতে একটি নীল পরী আমার চারপাশে ঘুর ঘুর করত, বুকের ভেতর তুমিহীনতার টনটন ব্যাথাটা আর থাকত না।

৬৩. পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুরত্ব কোনটি জানো? না, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড় দুরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।

৬৪. তবু মনে রেখো। যদি দূরে যাই চলে, যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নব প্রেমজালে।

৬৫. সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ।

৬৬. তুমি যদি না দেখা দাও, করো আমায় হেলা; কেমন করে কাটে আমার এমন বাদলবেলা

৬৭. আমি তোমাকে অসংখ্যভাবে ভালোবেসেছি, অসংখ্যবার ভালোবেসেছি। এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালোবেসেছি। বছরের পর বছর, সর্বদা, সব সময়ে।

৬৮. ভালোবাসা কথাটা বিবাহ কথার চেয়ে অধিক বেশি জ্যান্ত।

৬৯. প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।

৭০. পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমের মতো সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই, প্রথম জীবনে বালিকা যাকে ভালবাসে তাহার মতো সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময়ে অপ্রকাশিতই থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারা জীবন পোড়ায়।

৭১. আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায় – একটি হচ্ছে জ্ঞান, অন্যটি হচ্ছে প্রেম।

৭২. প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকলে রস নিবিড় হয় না।

৭৩. ক্ষমাই যদি করতে না পার তবে তাকে ভালবাস কেন?

৭৪. অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে চলবে না। এবার হৃদয়মাঝে লুকিয়ে বোসো, কেউ জানবে না, কেউ বলবে না।

৭৫. আজকাল সবাই যেটাকে ভালবাসা বলে সেটা একটা স্নায়ুর ব্যামো – হঠাৎ চিড়িক মেরে আসে, তারপর ছেড়ে যেতেও তোর সয় না।

৭৬. উপার্জনে আমাদের সুযোগ কম বলেই আসক্তি সঞ্চয়ে ভীতু আমরা।

৭৭. তর্কের বেলায় গৃহিণীর যুক্তিকে অকাট্য বলে কাজের বেলায় নিজের যুক্তিতে চলাই সৎ পরামর্শ।

৭৮. সংসারে সেরা লোকেরাই কুড়ে এবং বেকার লোকেরাই ধন্য। উভয়রে সম্মিলন হলেই মণি কাঞ্চন যোগ। এই কুঁড়ে বেকারে মিলনের জন্যইতো সন্ধ্যেবেলাটার সৃষ্টি হয়েছে।যোগীদরে জন্য সকালবেলা রোগীেদের জন্য রাত্রি কাজের লোকদের জন্য দশটা-চারটে।

৭৯. সময়ের সমুদ্রে আছি,কিন্তু একমুহূর্ত সময় নেই।

৮০. অতিদূর পরপারে গাঢ় নীল রেখার মতো বিদেশের আভাস দেখা যায়– সেখান হইতে রাগ-দ্বেষের দ্বন্দ্বকোলাহল সমুদ্র পার হইয়া আসিতে পারে না।

৮১. নিজের গুণহীনতার বিষয়ে অনভিজ্ঞ এমন নির্গুণ শতকরা নিরেনব্বই জন, কিন্তু নিজের গুণ একেবারে জানে না এমন গুণী কোথায়?

৮২. যাহারা নিজে বিশ্বাস নষ্ট করে না তাহারাই অন্যকে বিশ্বাস করে।

৮৩. বিবাহ না করিয়া ঠকা ভালো, বিবাহ করিয়া ঠকিলেই মুশকিল।

৮৪. তিক্ত বড়িকে মিষ্টি আকারে গেলানো রাজনীতির নৈপুণ্য।

৮৫. স্বামীরা প্রেমিক হতে অবশ্যই রাজি, তবে সেটা নিজের স্ত্রীর সাথে নয়। নিজের স্ত্রীর প্রেমিক হবার বিষয়টা কেন যেন তারা ভাবতেই চায় না।

৮৬. কী পাইনি তারই হিসাব মেলাতে মন মোর নহে রাজি।

৮৭. মনেরে আজ কহ যে, ভালো মন্দ যাহাই আসুক/সত্যেরে লও সহজে।

৮৮. যায় যদি লুপ্ত হয়ে থাকে শুধু থাক এক বিন্দু নয়নের জল কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল এ তাজমহল।

৮৯. তোমার পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শকতি।

৯০. নিজের গুণহীনতার বিষয়ে অনভিজ্ঞ এমন নির্গুণ শতকরা নিরেনব্বই জন, কিন্তু নিজের গুণ একেবারে জানে না এমন গুণী কোথায়?

৯১. সময়ের সমুদ্রে আছি,কিন্তু একমুহূর্ত সময় নেই।

৯২. এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।

৯৩. অক্ষমের লোভ আলাদিনের প্রদীপের গুজব শুনলেই লাফিয়া উঠে।

৯৪. অতীতকাল যত বড় কালই হোক নিজের সম্বন্ধে বর্তমান কালের একটা স্পর্ধা থাকা উচিত। মনে থাকা উচিত তার মধ্যে জয় করবার শক্তি আছে।

৯৫. কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি। তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।

৯৬. অপর ব্যাক্তির কোলে পিঠে চড়িয়া অগ্রসর হওয়ার কোন মাহাত্ম্য নাই, কারণ চলিবার শক্তিলাভই যথার্থ লাভ, অগ্রসর হওয়া মাত্র লাভ নহে।

৯৭. নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞানতার মতো অজ্ঞান আর তো কিছু নাই।

৯৮. যৌবনই ভোগের কাল বার্ধক্য স্মৃতিচারণের।

৯৯. ছেঁড়া পাপড়ির মধ্যে আপনি ফুলের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন না।

১০০. চন্দ্রের যে কলঙ্ক সেটা কেবল মুখের উপরে, তার জ্যোৎস্নায় কোন দাগ পড়ে না।