Thursday, May 9, 2024
জীবনযাপন

এই ১০০টি উক্তি আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে

জীবনে উন্নতি করতে চাইলে ব্যর্থতাকে পাশ কাটিয়ে যেতে হয়। দশম শ্রেণী পাশ না করা ধীরুভাই আম্বানি এশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী হতে পারেন, তাহলে আপনি পারবেন না কেন ! আপনি যত ছোট অবস্থায় থেকে যত বড় হওয়ার স্বপ্নই দেখেন না কেন – সেটা পূরণ হওয়া সম্ভব। আপনাকে শুধু কাজ করতে হবে। ব্যর্থতার ভয়কে পাত্তা দেয়া যাবে না। এটা সব সময়েই মনের ভেতর থাকবে। কিন্তু একে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া যাবে না।

১. সাফল্য আসলে কাজ করে যাওয়ার সাথে সম্পর্কিত। সফল মানুষেরা সব সময়ে কাজ করে যান। তাঁরা ভুল করেন, কিন্তু কখনও সেই কারণে থেমে যান না।

২. রাতারাতি সাফল্য বলতে কিছু নেই। মনোযোগ দিলে দেখবে সব সাফল্যই অনেক সময় নিয়ে আসে।

৩. অন্যের সাফল্যের বদলে, অন্যের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করো। বেশিরভাগ মানুষ মোটামুটি একই রকম কারণে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে সফল হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে।

৪. অতীতের সাফল্য হয়তো তোমাকে ভবিষ্যতের ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু তুমি যদি প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে পারো, তবে দিন শেষে তুমি একজন সফল হবেই।

৫. সন্তানের সাফল্য চাইলে তাকে মাছ খেতে দেয়ার বদলে মাছ ধরতে শেখাও।

৬. অসত্যের পথে সফল হওয়ার চেয়ে, সত্যের পথে ব্যর্থ হওয়াও ভালো।

৭. সাফল্য তখনই আসে যখন একজন মানুষ তার নিজের ক্ষমতার পুরোটা কোনও কাজে বিলিয়ে দেয়।

৮. সফল হওয়ার চেষ্টা করার বদলে দক্ষ হওয়ার চেষ্টা করো। সাফল্য এমনিই আসবে।

৯. সাফল্য ঘটে না। তাকে ঘটাতে হয়।

১০. সফল মানুষেরা সাধারণত তাঁদের কাজের বিষয়কে পাগলের মত ভালোবাসেন।

১১. ব্যবসার জগতে তারাই সবচেয়ে বেশি সফল, যারা তাদের সবচেয়ে ভালোলাগার কাজটি করছে।

১২. সাধারণ সফল আর অসাধারণ সফলদের মধ্যে পার্থক্য হলো, অসাধারণ সফলদের ‘না’ বলার ক্ষমতাও অসাধারণ।

১৩. অন্যরা ছেড়ে যাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় হাল ধরে রাখতে পারা সাফল্য অর্জন করার জন্য খুব বড় একটা ব্যাপার।

১৪. সাফল্য মানে ৯ বার পড়ে গিয়ে ১০ম বার উঠে দাঁড়ানো।

১৫. সাফল্যের আগুন একা একা জ্বলে না। এটা তোমাকে নিজ হাতে জ্বালাতে হবে।

১৬. সাফল্য খুব সহজ ব্যাপার। সঠিক কাজটি সঠিক ভাবে ও সঠিক সময়ে করে ফেলো।

১৭. সাফল্য তখনই আসে যখন একজন মানুষ তার নিজের ক্ষমতার পুরোটা কোনও কাজে বিলিয়ে দেয়।

১৮. মানুষের জীবনে কঠিন সময় আসাটা খুব দরকার। কঠিন সময়ের কারণেই মানুষ সাফল্য উপভোগ করতে পারে।

১৯. আমি মনে করি সাফল্য হলো তুমি যা করতে চাও সেই বিষয়টি সবচেয়ে ভালো ভাবে করার চেষ্টা করে যাওয়া।

২০. যদি তোমার সমালোচনা করার মত কেউ না থাকে, তবে তোমার সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

২১. ব্যর্থ হওয়ার নানা উপায় আছে, কিন্তু সফল হওয়ার উপায় একটাই।

২২. সফল হওয়ার উপায় কী জানি না, কিন্তু ব্যর্থ হওয়ার চাবিকাঠি হচ্ছে সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করা।

২৩. মানুষের জন্ম হয় সফলতার জন্য, ব্যর্থতার জন্য নয়।

২৪. আমাকে আমার সফলতা দ্বারা বিচার করো না; ব্যর্থতা থেকে কতবার আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা দিয়ে আমাকে বিচার করো।

২৫. দ্রুত কাজ করে অন্যকে অতিক্রম করুন। আপনি যদি সেটি না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি খুব দ্রুত কাজ করতে পারছেন না।

২৬. কেউ কেউ খুব স্মার্ট কিংবা দক্ষ হতে পারে, কিন্তু তারা যদি তাতে বিশ্বাস না রাখে, তাহলে তারা কঠোর পরিশ্রমে আগ্রহী হয় না।

২৭. আমি প্রতিদিনই আমাকে যে প্রশ্নটি করি তা হল, “আমি কি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করছি যা আমি করতে পারতাম?” আমি যদি মনে না করি যে আমি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করছি, তাহলে সময় কাটানোটা আমার কাছে মূল্যহীন মনে হয়।

২৮. আপনি যা করছেন, যদি ভালোবাসেন এবং ওই কাজে সফলতার জন্য সবকিছু করতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলে সেটা হাতের নাগালে পৌঁছবে। কাজের পেছনে প্রতিটা মিনিটের মূল্যায়ন প্রয়োজন। ভাবুন আর ভাবুন; যে আসলেই আপনি কি নকশা অথবা তৈরি করতে চাচ্ছেন।

২৯. মানুষের সঙ্গে সহজ ব্যবহার করা আমার কাজ নয়। আমার কাজ হচ্ছে, মানুষকে দিয়ে আরও ভাল কিছু করানো।

৩০. মানুষ মনে করে ফোকাস অর্থ হচ্ছে তাকে যে বিষয়টিতে মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে, সে বিষয়ে হ্যাঁ বলা। কিন্তু এর অর্থ উল্টো। এর অর্থ হচ্ছে অন্যান্য হাজারো ভাল আইডিয়াকে বিদায় জানানো। তবে এ কাজটি আপনাকে সতর্কভাবে করতে হবে। আমরা যে কাজগুলো করেছি, সেগুলোর জন্য আমি যতখানি গর্বিত, যে কাজগুলো করিনি সেগুলোর জন্যও আমি ঠিক ততোখানিই গর্বিত। উদ্ভাবন মানে হচ্ছে হাজারটা বিষয়কে না বলতে পারা।

৩১. সফলতা লাভ করারা গোপন কথাটি তারাই জানে, যারা সফলতা লাভ করেছে।

৩২. যখন সাফল্য আসে, তখন যন্ত্রণাকে আর যন্ত্রনা মনে হয় না।

৩৩. সংশয় যেখানে থাকে, সাফল্য সেখানে ধীর পদক্ষেপে আসে।

৩৪. একজন মানুষের সফল বা ব্যর্থ হওয়া তার ক্ষমতার ওপর যতটা না নির্ভর করে, তারচেয়ে বেশি তার দৃষ্টিভঙ্গীর ওপর নির্ভর করে। যারা সফল হয়, তারা সফল হওয়ার আগে থেকেই সফল মানুষের মত আচরণ করে। এই বিশ্বাসই একদিন সত্যিতে পরিনত হয়। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি অবশ্যই সফল হবেন, তবে আপনার ব্যবহারেও তা প্রকাশ পাবে। এবং আপনি নিজেই নিজের এই দৃষ্টিভঙ্গীর সুফল দেখে অবাক হয়ে যাবেন।

৩৫. যেখানে পরিশ্রম নেই, সেখানে সাফল্য নেই।

৩৬. পাপ লুকানোর চেষ্টা করে কোনোদিন সফলকাম হতে পারে না। পাপের কথা স্বীকার করে যদি কেউ তা ত্যাগ করার চেষ্টা করে তবে তার পক্ষে সফলতা লাভ করা স্বাভাবিক।

৩৭. সফলতা কখনো অন্ধ হয় না।

৩৮. সাফল্য একটি বিজ্ঞান। সঠিক উপাদান মেশালে তুমি সঠিক ফলাফল পাবে।

৩৯. কাজ শুরু করাই হলো সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

৪০. ব্যর্থতার ছাই থেকে সাফল্যের প্রাসাদ গড়ো। হতাশা আর ব্যর্থতা হলো সাফল্যের প্রাসাদের দুই মূল ভিত্তি।

৪১. জীবনে সফল হতে চাইলে দু’টি জিনিস প্রয়োজন: জেদ আর আত্মবিশ্বাস।

৪২. সাধারণ মানুষ যতক্ষণ ভালো লাগে, ততক্ষণ কাজ করে। আর অসাধারণ সফল মানুষেরা ভালো না লাগলেও যতক্ষণ না কাজ শেষ হয়, ততক্ষণ কাজ বন্ধ করে না।

৪৩. সাফল্যের মূল্য হল হাতের কাজের প্রতি ভালোবাসা আর কঠোর পরিশ্রম। সেইসাথে, জয় পরাজয় ভুলে নিজের পুরো সামর্থ বিলিয়ে দেয়া।

৪৪. সাফল্য অর্জন করা আর সফল হওয়া এক নয়। সুবিধা পেলে অনেকেই সফল হতে পারে। অনেককে জোর করে সফল বানানো হয়। কিন্তু যে নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রম দিয়ে সফল হয় – সেই প্রকৃত সাফল্য অর্জন করে।

৪৫. সাফল্য চাইলে সাফল্যকে লক্ষ্য বানিও না; তুমি যা করতে ভালোবাসো, সেটাই করতে থাক। সাফল্য নিজেই ধরা দেবে।

৪৬. একমাত্র নিশ্চুপ লোকই তার সফলতা দিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে পারে।

৪৭. একজনের ব্যর্থতাই অন্যের সফলতার সোপান।

৪৮. একজন মানুষ এখন কতটা উপরে আছে, তা দিয়ে আমি তার সাফল্য মাপি না। একদম নিচে পড়ে যাওয়ার পর সে নিজেকে কতটা ওপরে তুলতে পারে – সেটাই আসল কথা।

৪৯. একটি লক্ষ্য ঠিক করো। সেই লক্ষ্যকে নিজের জীবনের অংশ্ বানিয়ে ফেলো। চিন্তা করো, স্বপ্ন দেখো। তোমার মস্তিষ্ক, পেশী, রক্তনালী – পুরো শরীরে সেই লক্ষ্যকে ছড়িয়ে দাও, আর বাকি সবকিছু ভুলে যাও। এটাই সাফল্যের পথ।

৫০. একজন সফল যোদ্ধা হলো একজন সাধারণ মানুষ, যে অন্যদের চেয়ে বেশি মনোযোগী।

৫১. সফল মানুষের সাথে অসফল মানুষের প্রধান পার্থক্য শক্তি বা জ্ঞান নয়। পার্থক্যটা হলো সত্যিকার সফল হওয়ার ইচ্ছা।

৫২. তুমি যদি তোমার সময়ের মূল্য না দাও, তবে অন্যরাও দেবে না। নিজের সময় ও প্রতিভাকে বাজে বিষয়ে নষ্ট করা বন্ধ করো। তাহলেই সফল হবে।

৫৩. তুমি যদি তোমার সময়ের মূল্য না দাও, তবে অন্যরাও দেবে না। নিজের সময় ও প্রতিভাকে বাজে বিষয়ে নষ্ট করা বন্ধ করো। তাহলেই সফল হবে।

৫৪. যার মাঝে সীমাহীন উ‌ৎসাহ, বুদ্ধি ও একটানা কাজ করার গুণ থাকে, তবে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

৫৫. সাফল্যের জন্য তোমাকে ৩টি মূল্য দিতে হবে: ভালোবাসা, কঠোর পরিশ্রম, আর স্বপ্নকে বাস্তব হতে দেখার জন্য ব্যর্থতার পরও কাজ করে যাওয়া।

৫৬. আত্মশক্তির প্রতি যার শ্রদ্ধা আছে, সে একদিন যতো বিলম্বেই হোক না কেন গগণমার্গে মস্তক উঁচু করে দাঁড়াবেই।

৫৭. অর্থ যেমন অর্থের জন্ম দেয়, সাফল্য তেমনি সাফল্যের জন্ম দেয়।

৫৮. জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই বহন করে করুক; আমি প্রয়োজন বোধ করি না : আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে।

৫৯. তোমার মেধার ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু তোমার চেয়ে বেশি পরিশ্রম অন্য কেউ করবে সেটি তো হতে দেওয়া যায় না- পরিশ্রম দিয়ে মেধার ঘাটতি অবশ্যই পুষিয়ে নেওয়া যায়।

৬০. পৃথিবীটা হচ্ছে একটি আয়নার মতো- তুমি সবার সাথে যেমন ব্যবহার করবে যেমন মনোভাব পোষণ করবে ঠিক তেমনটাই ফিরে পাবে প্রতিদানে

৬১. ঘুমিয়েই কি কেটে যাবে একটি জীবন? জীবন হোক কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর, ছুটে চলার নিরন্তর অনুপ্রেরণা। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কবরের জীবন চিরকাল পড়ে রয়েছেই।

৬২. পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দের অনুভূতিটি হচ্ছে যখন তুমি একটি লক্ষ্য ঠিক করেছিলে সেই লক্ষ্যটি পূরণ করতে পারলে!

৬৩. সফলতা সুখের চাবিকাঠি নয়, বরং সুখ হল সফলতার চাবিকাঠি। আপনার কাজকে যদি আপনি মনে প্রাণে ভালোবাসতে পারেন অর্থাৎ আপনি যদি নিজের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন তবে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।

৬৪. কোনও কিছু করার আগ পর্যন্ত সবসময়ই সেটা অসম্ভব বলে মনে হয়।

৬৫. অতীতকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু ভবিষ্যৎ এখনও তোমার হাতে।

৬৬. যদি তোমার লক্ষ্য যথেষ্ট দৃঢ় হয়, তাহলে ব্যর্থতা কখনও তোমাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।

৬৭. নতুন দিনই নতুন শক্তি এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়।

৬৮. আশাবাদীতা হল এক ধরণের বিশ্বাস যা মানুষকে সাফল্যের দিকে পরিচালিত করে। আশা এবং আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়।

৬৯. আজই তোমার জীবনকে পরিবর্তন করো। তোমার ভবিষ্যৎ কে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিও না। দেরি না করে এখনই কাজ শুরু করো।

৭০. আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি, কিন্তু চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা।

৭১. স্বপ্ন পূরণই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তাই বলে স্বপ্নকে ত্যাগ করে নয়, তাকে সঙ্গে নিয়ে চলো। কারণ স্বপ্ন ছাড়া জীবন অর্থহীন।

৭২. একমাত্র আমিই আমার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারি। অন্য কেউ ই আমার জন্য এটা করবে না।

৭৩. বিশাল মহাজগতে ক্ষুদ্র বালুকণার চেয়ে ছোট্ট এ পৃথিবী, তার মাঝে ক্ষণিকের এ জীবন- জগতের বুকে একটি আঁচড় না কেটেই হারিয়ে যাবে অতলে?

৭৪. “কি বলা হচ্ছে”, সেটি হৃদয়ে ধারণ করো, “কে বলছে” সেটি বিবেচ্য নয়। পথের ভিখারীও কখনো তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান পরামর্শ দিতে পারে।

৭৫. তুমি যদি এখন থেকেই তোমার স্বপ্নগুলো সত্যি করার পেছনে ছুটে না চলো, একদিন তোমাকে কাজ করতে হবে অন্যদের অধীনে- তাদের স্বপ্নগুলো সত্যি করার জন্য।

৭৬. যার নেশা আর পেশা মিলে যায় তার চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কে হতে পারে?

৭৭. বাঁচার মতো বাঁচতে জানলে জীবনটা অসম্ভব রোমাঞ্চকর একটি অভিযান, আর একদম ঝুঁকিহীন জীবন সে তো মুরগির খোঁয়াড়ে ধুঁকে ধুঁকে টিকে থাকা।

৭৮. খুব শিগগির অসম্ভব চমৎকার একটা কিছু ঘটতে চলেছে তোমার জীবনে, তুমি কি সেটি অনুভব করতে পারো?

৭৯. জীবনে আমি হাজার হাজার ভুল করেছি, হাজারবার হোঁচট খেয়েছি- এবং সেটি নিয়ে আমি গর্বিত! প্রত্যেকটি ভুল, প্রত্যেকবার হোঁচট খাওয়া আমাকে গড়ে তুলেছে আরও শক্তিশালী, আরও পরিণত করে।

৮০. তুমি ভুল করছো এতে লজ্জার কিছু নেই। বারবার ভুল করা একটি জিনিসই প্রমাণ করে- তুমি হাল ছাড়োনি, তুমি চেষ্টা করে চলেছ।

৮১. লক্ষ্যের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেও যখন ব্যর্থতার তিক্ত স্বাদ পেতে হয়- তাতে দুঃখের কিছু নেই। এই কঠোর পরিশ্রমের ভেতর দিয়ে তুমি হয়ে উঠেছ আরো শক্তিশালী, আরো অভিজ্ঞ, আরো দক্ষ- এটাই তো সত্যিকারের বিজয়!

৮২. অভিজ্ঞতা- এই জিনিসটি কেউ কাউকে শেখাতে পারে না। তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষটি পরামর্শ দিতে পারেন, কিন্তু যতক্ষণ না নিজে অভিজ্ঞতাটি অর্জন করছো বিষয়টি তুমি সত্যিকার উপলব্ধি করতে পারবে না।

৮৩. ভয় পাওয়ায় দোষের কিছু নেই। কিন্তু ভয় পেয়ে পড়ে থাকলে চলবে না, তোমাকে উঠে দাঁড়াতে হবে, ফাইট দিতে হবে, হেরে গেলে আবার নতুন উদ্যমে সব শুরু করার উদ্যম থাকতে হবে।

৮৪. সহজে জেতার আনন্দ কোথায়? বাধা যত বিশাল, বিজয়ের আনন্দও ততোই বাঁধভাঙ্গা!

৮৫. জীবন মানে নিরন্তর ছুটে চলা.. পদে পদে বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতায় রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হওয়া, সে ক্ষত মুছে আবার প্রবল আগ্রাসে ঝাঁপিয়ে পড়া.. সংগ্রাম এবং সাফল্য – এই তো জীবন!

৮৬. কখনও ভেঙে পড়ো না। পৃথিবীর যা কিছু হারিয়ে যায়, অন্য কোন রূপে সেটি ঠিকই আবার ফিরে আসে জীবনে।

৮৭. প্রত্যেকের জীবনের একটা গল্প আছে। অতীতে ফিরে গিয়ে গল্পের শুরুটা কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি গল্পের শেষটা চাইলেই নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারো।

৮৮. সম্ভাবনা আর বিপদ হাতে হাত রেখে চলে। তাই বলে সম্ভাবনার দ্বার না খুললে কি চলবে?

৮৯. কখনো হাল ছেড়ে দিও না! এখনকার এই দাঁতে দাঁত চেপে করা কষ্টগুলো তোমাকে বিজয়ীর খেতাব দেবে সারাজীবনের জন্য।

৯০. স্বপ্ন দেখতে জানলে জীবনের কাঁটাগুলোও ধরা দেয় গোলাপ হয়ে।

৯১. কোন বোকা যখন কথা বলে তখন তুমি তার উত্তর দিওনা।
তার কথার উত্তর দেওয়ার চাইতে চুপ থাকা উত্তম।

৯২. ছোটদের সাথে ঠাট্টা-মশকরা করো না, সে তোমার মাথায় চড়বে।
বয়স্কদের সাথে ঠাট্টা-মশকরা করো না, সে তোমার প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করবে।

৯৩. দুঃখ-কষ্ট যতই কঠিন ও সুদূরপ্রসারী হোক না কেন তা কখনো চিরস্থায়ী হয় না।
বরং কারও পরিস্থিতি যতই জটিল-কঠিন হয় ততই সে স্বাচ্ছন্দ্য, স্বস্তি ও আরাম আয়েশের নিকটবর্তী হতে থাকে।
তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য নেমে আসে।
প্রতিটি অন্ধকার রাত্রির শেষ কি আলোকিত সকাল নয়?

৯৪. মূর্খ নিজে তার যতটা ক্ষতি করে, শত্রুরাও তার ততটা ক্ষতি করতে পারে না।

৯৫. যা অতীত হয়ে গেছে তা চিরদিনের জন্য চলে গেছে আর যা আশা করা হয় তাতো অজানা-অজ্ঞাত।
আর তোমার যা আছে তা হলো বর্তমান মুহূর্তটি।

৯৬. মরিচা যেমন লোহাকে বিনষ্ট করে দেয়, তেমনি হিংসা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।

৯৭. ভুল পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলে সমাধানের পথ কখনো খুঁজে পাবেন না, বরং তাতে আপনার কষ্টই বাড়বে।

৯৮. দুটি চরম অবস্থার মধ্যে কখনোই সুখ পাওয়া যায়না। আর তা হলো, বাড়াবাড়ি ও অবহেলা।

৯৯. অজ্ঞতাই মানুষের অন্যতম প্রধান শত্রু।

১০০. অনুশীলন মানুষকে পারদর্শী করে তোলে।