Friday, May 17, 2024
দেশ

ভুল নম্বর থেকে প্রেম, ৬০ বছরের ‘দিদিমা’কে বিয়ে করতে বাধ্য হল ১৫ বছরের কিশোর

গুয়াহাটি: বন্ধুকে ফোন করতে গিয়ে ফোনটা চলে গিয়েছিল ভুল নম্বরে। অপর প্রান্তে সুমধুর নারী কণ্ঠ। মিষ্টভাষী ওই মহিলা কন্ঠ ভালো লেগে গিয়েছিল কিশোরের। ‘কোকিল কণ্ঠী’র প্রেমে পড়তে সময় লাগেনি। তৈরি হল নতুন কোনও সম্পর্ক ৷ প্রেম, ভালোবাসা এবং বিয়ে। কিন্তু বিয়ের আসরে যে এমন বাজ পড়বে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি প্রেমে বিভোর অসমের গোয়ালপাড়ার শিমলিতোলার হেপচাপাড়া গ্রামের ১৫ বছরের কিশোরের।

দেখা করতে এসেই প্রথম স্বপ্ন ভাঙা শুরু। এতদিন যাঁর সঙ্গে এত ভালোবাসা বিনিয়ম, সেই প্রেমিকা যে কিনা তাঁর দিদিমার বয়সী! প্রেমিকাকে না দেখেই মহিলা কন্ঠের প্রেমে পড়ে যায় ওই কিশোর। মহিলাও তাতে রাজি। তবে দেখা করার কথা বলতেই শর্ত দেন ওই মহিলা। প্রেমের প্রস্তাব নয়, বাড়িতে এসে সরাসরি অভিভাবককে দিতে হবে বিয়ের প্রস্তাব। সেই শর্তে তখন এককথায় রাজি হয়ে যায় কিশোর। এরপর দেখাও করতে যায় সে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।

নির্ধারিত দিনে বরপেটা জেলার সুখারচর গ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে পৌঁছতেই সে পায় উষ্ণ অভ্যর্থনা। জমিয়ে হয় খাওয়া–দাওয়া।কিন্তু প্রেমিকার দেখা মেলেনি। প্রথম বার নিজের প্রেমিকাকে সামনে থেকে সশরীরে দেখার জন্য আর তর সইছিল না ওই কিশোরের। কিন্তু প্রেমিকা সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছে উঠে যায় তার। ৬০ বছর বয়সি মহিলাকে দেখে প্রথমে ভেবেছিল, তিনি হয়তো প্রেমিকার দিদিমা হবেন। কিন্তু যখন জানতে পারে যে এই সেই প্রেমিকা, তখন ওই কিশোরের কার্যত মাথায় হাত।

পালিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সবই বৃথা চেষ্টা। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী মারা গিয়েছেন। এরপর থেকেই তাঁকে দ্বিতীয়বার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিশোরকে হাতের নাগালে পেতেই এরপর জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। নিরুপায় হয়ে ৬০ বছরের ‘ নতুন বউ’ নিয়েই গ্রামে ফিরে আসে ওই কিশোর। কিশোরের বাড়িতে এখন তিল ধারণের জায়গা নেই। আশেপাশের গ্রাম থেকেও মানুষ আসছেন নতুন বউকে দেখতে। লজ্জায় মুখ লুকোতে বাধ্য হচ্ছে কিশোরও।‌ তবে কিশোরের পরিবার এই বিয়েতে নারাজ। কিশোরের পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।