রাজ্যপাল ও অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সৌরভের জমি ফিরিয়ে নিল মমতা সরকার
কলকাতা: রবিবার বিকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এবং সোমবার একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে জল্পনা ছড়ায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এরপরেই সৌরভের নিউটাউনের জমি ফিরিয়ে নিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, নিউ টাউনে ওই জমি স্কুল তৈরির জন্য নিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। স্কুল তৈরির জন্য বরাদ্দ দু’একর জমি ফিরিয়ে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ওই জমি হিডকো’কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। মমতার মন্ত্রিসভায় এব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানিয়েছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হবে। প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার পরে নিউ টাউনের ওই জমির দখল নেবে হিডকো।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের শিশুদের জন্য স্কুল করতে নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ১-এ ২ একর জমি বরাদ্দ হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য। তবে গত আগস্টে ওই জমি ফিরিয়ে দিতে চেয়ে হিডকোর কাছে আবেদন জানান স্বয়ং সৌরভই। তবে দীর্ঘদিন তাঁর প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছুই বলেনি রাজ্য সরকার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চলতি সপ্তহে পর পর দু’দিন রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌরভের সাক্ষাতের পর জমি ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল সরকার।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও ‘সৌজন্য’ সাক্ষাতের পরে রাজ্য রাজনীতি রীতিমতো সরগরম। মহারাজ বিজেপিতে যোগদান করছেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয়। এমনকি, বলা হয় আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখই দাদাই। জল্পনায় চললেও সৌরভ কখনও মুখ ফুটে একটা কথাও বলেননি। এসব জল্পনার মধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভা তাঁর নিউটা উনের জমিটি ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
বলে রাখি, এর আগে ২০০৯ সালে বামফ্রন্ট সরকার সল্টলেকের সিএ ব্লকে সৌরভকে ৬৩ কাঠা জমি দিয়েছিল। সেই জমিটিও স্কুল তৈরির জন্য নিয়েছিলেন তিনি। তবে মামলা-মোকদ্দমার জেরে সেই জমি ছাড়তে বাধ্য হন সৌরভ। এরপর ২০১৩ সালে সল্টলেকের জমিটির বিকল্প হিসাবেই তৃণমূল সরকার নিউটাউনে তাঁকে জমির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। তবে তার মাঝেই দাদার বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনার মাঝেই সেটিও হাতছাড়া হয়ে গেল সৌরভের।