মহা মুশকিল! এবার নিজের কেন্দ্রে দলীয় কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পেলেন না জিতেন্দ্র তিওয়ারি
বর্ধমান: বিধানসভা ভোটের আগে একের পর এক নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেবিতে যোগ দিয়েছেন। সেই পালে হাওয়া লাগে জিতেন্দ্র তিওয়ারিও তৃণমূল দল এবং আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপরেই বাবুল সুপ্রিয় সহ বিজেপি নেতারা তাঁকে দলে নিতে অস্বীকৃতি জানান। তাই চাপে পড়ে ভোল বদল করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জানান, তিনি তৃণমূলেই আছেন।
তবে দলে ফিরলেও আগের সেই পদ ফেরত পাননি জিতেন্দ্র। এবার তাঁর ‘খাসতালুকে’ তৃণমূলের কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পেলেন না তিনি। পাণ্ডবেশ্বরের দলীয় সভায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার সব নেতা-নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও কেবলমাত্র বাদ পড়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্রই।
ঘটনায় হতবাক জিতেন্দ্রর প্রতিক্রিয়া, আমি দল এবং সরকারি পদ ছেড়েছিলাম। আবার দলে ফিরেছি। কিন্তু দল আমাকে বিশ্বাস করতে পারছে না! উল্লেখ্য, তৃণমূল দল এবং আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ ছাড়লেও এখনও বিধায়কের পদ ছাড়েননি জিতেন্দ্র। অর্থাৎ তিনি এখনও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। সেই পাণ্ডবেশ্বরেই ২ জানুয়ারি তৃণমূলের সাংগঠনিক সভা। অথচ পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ককেই সেই সভায় ডাকা হয়নি।
জানা গিয়েছে, ২ জানুয়ারির ওই সভায় মূল বক্তা রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, বর্তমান মেয়র দিলীপ অগস্তি-সহ জেলার প্রায় সব নেতা-নেত্রী। সভায় আমন্ত্রিত নন শুধু জিতেন্দ্র।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।