Monday, May 20, 2024
কলকাতা

ঢাকুরিয়ার স্কুলে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা, সাসপেন্ড অভিযুক্ত শিক্ষক

কলকাতা: শহরের বুকে ফের ফিরে এল জি ডি বিড়লা স্কুলের সেই ভয়াবহ স্মৃতি। এবার ঘটনাস্থল ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুল। স্কুলেরই এক শিক্ষকের লালসার শিকার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার কথা সামনে আসার পর উত্তেজিত জনতা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বুধবার পুলিশ পাহারায় খুলবে স্কুল।

শিশু ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। উত্তেজিত জনতা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষক দীপক কর্মকার নার্সারি বিভাগের ৬ বছরের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছেন। ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিজেপির ডাকা বন্‌ধের দিন ওই ঘটনা ঘটে। শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ওই দিন স্কুল খোলা ছিল। আমি মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু, বাড়ি ফেরার পর থেকেই মেয়ে কেমন একটা অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। আমরা প্রথমে কিছু বুঝতেই পারিনি। ওকে দেখে মনে হচ্ছিল, খুব ভয় পেয়েছে। অন্য দিনের মতো কথাও বলছিল না। বাবা-মায়ের অভিযোগ, এর পরেই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

বার বার জিজ্ঞাসা করার পর তাঁরা গোটা ঘটনার কথা জানতে পারেন। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, বন্‌ধের দিন স্কুলে পড়ুয়াদের হাজিরার সংখ্যা অনেক কম ছিল। দীপক কর্মকার ওদের বাংলা ও ইংরেজি পড়ান। তিনি আমার মেয়েকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানেই ওর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন ওই শিক্ষক। শিশুটির বাবা-মায়ের দাবি, ঘটনার কথা জানার পরেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যানমেয়েকে। চিকিৎসকও যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান তাঁরা।

অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন অভিভাবকেরা। স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকে ভাঙচুরও চালান তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লেক থানার পুলিশ। মাইকিংয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করলেও ব্য়র্থ হয় পুলিশ। স্কুলের মেইন গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। উত্তেজিত অভিভাবকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ে বিক্ষোভকারী অভিভাবকেরা।