বাংলায় এনআরসি করা হোক, পাশপাশি সিএবি চালুর দাবিতে সরব আরএসএস
কলকাতা: অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তথা এনআরসি ইস্যু নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। সেই বিতর্কের ঢেউ এসে পড়েছে বাংলাতেও। প্রতিবাদে মুখর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এনআরসি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের আরএসএস শাখার সচিব জিষ্ণু বসু। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অসমের মতো বাংলায়ও এনআরসি করা হোক। এবং এনআরসি-র পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি চালুর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্য আরএসএস শাখার সচিবের মতে, বাঙালি হিন্দুদের বাঁচাতে বাংলার এনআরসি চালু ছাড়া উপায় নেই। বাংলাদেশেও অত্যাচারিত হিন্দুরা এদেশে আসছেন। সেই বিল তাদেরকেও বাঁচাবে বলে তিনি মনে করেন।
NRC is the only option to save Bengali Hindus from annihilation from West Bengal. Bangladeshi Hindus who have faced several atrocities are coming here & Citizenship Amendment Bill would be helpful for them: RSS West Bengal secretary Jishnu Basu pic.twitter.com/ShRzid1Dt3
— ANI (@ANI) 18 September 2018
উল্লেখ্য, অসমে এনআরসি’র চূড়ান্ত খসড়া তালিকা ৩০ জুলাই প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় মোট ৩.২৯ কোটি মানুষের মধ্যে ২.৮৯ কোটি মানুষের নাম নাগরিক তালিকায় উঠেছে। ফলে তালিকার বাইরে রয়েছেন ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ। এসব মানুষকে অসম থেকে বের করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি। এসব মানুষের বেশিরভাগই বাংলাভাষী মুসলিম। স্থানীয় সরকার ও ভারত সরকারের দাবি, এরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে এসে বসবাস করছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি চালুর দাবি জানিয়েছেন তা ২০১৬ সালের জুলাই মাসে লোকসভায় পেশ হয়। মানবিকতার খাতিরে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও অন্য দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতে আসা মানুষদের এই বিল মেনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে বিলটি এখনও লোকসভায় পাশ হয়নি। জিষ্ণু বসু মনে করছেন বাংলার ক্ষেত্রে বিলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরএসএস পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া অসম-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এনআরসি নিয়ে জোর কদমে প্রচার প্রচারণায় নামছে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, এনআরসি প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী হায়দরাবাদ ও মাহবুবনগর জেলায়ও আছেন। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর অবৈধ অভিবাসী শুধু নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই হুমকি নয়। একই সঙ্গে তারা জোর করে ভারতীয় নাগরিকদের কাজ নিয়ে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসির তালিকা তৈরি করা হবে এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই এনআরসি জরুরি।