ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ সাজা দিতে আইন আনতে তৈরি সরকার: রাজনাথ সিং
নয়াদিল্লি: হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। সোমবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সারা দেশের লজ্জা। এই ঘটনায় সবাই আহত। দোষীদের কঠোরতম সাজা দিতে হবে। যদি আরও কঠোর আইন আনার বিষয়ে সব দল একমত হয়, তাহলে সরকার সেই আইন আনতে তৈরি।
প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন বলেন, ধর্ষণকারীদের জনগণের হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ। ফাঁসি দিয়ে নয় বরং গণপিটুনির মাধ্যমে তাদের মৃত্যদণ্ড হওয়া উচিৎ। জয়া বচ্চন বলেন, সময় হয়েছে এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার।
কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেন, কোনও সরকার বা রাজনীতিবিদই চাইবেন না এমন ঘটনা ঘটুক। বিষয়টি মোকাবিলা করতে আমাদের শুধু নতুন আইন আনলেই হবে না। এই বিষয়টিকে সমাজ থেকে নির্মূল করতে আমাদের এক সঙ্গে লড়তে হবে। সঙ্গবদ্ধ হতে হবে।
Defence Minister Rajnath Singh in Lok Sabha on rape & murder of woman veterinary doctor: To control and eliminate such crimes against women, we are ready to make the kind of law which the entire House agrees to. https://t.co/yFtLdDZOVy
— ANI (@ANI) December 2, 2019
কংগ্রেসে আমে ইয়াজনিক বলেন, আমি আমাদের পুরো সিস্টেমকে, আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে, সংসদীয় গঠনতন্ত্রকে আবেদন জানাচ্ছি যে তারা এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করুক যে সমাজে এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে। আর এই শ্রীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
এআইএডিএমকের সদস্য বিজিলা সত্যনাথ বলেন, আমাদের এই দেশ মহিলা ও শিশুদের জন্য আর সুরক্ষিত নেই। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের আগেই এই বর্বোরচিত ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৪ জন খুনিকে ফাঁসি দেওয়া হোক। এর জন্য একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করা উচিৎ।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, শুধুমাত্র নতুন আইনের প্রয়োজন নয় আমাদের। প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। আমাদের এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রয়োজন প্রশাসনিক দক্ষতা। সমাজের মানুষের মানসিকতা বদল করা প্রয়োজন।