Monday, May 6, 2024
দেশ

অবিলম্বে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক, কেরলে অন্তঃসত্ত্বা হাতি খুনে গর্জে উঠলেন রতন টাটা

নয়াদিল্লি: মানুষ যে কতটা হিংস্র হতে পারে কেরলে অন্তঃসত্ত্বা হাতি খুনের ঘটনায় তা সামনে আসল। গর্ভবতী হাতি খাবারের সন্ধানে কেরলের একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। একটু খাবারের খোঁজ করছিল সে। কারও কোনও ক্ষতি করেনি। কোনও বাড়িও ভাঙেনি। বাজি ভর্তি আনারস খেতে দেওয়া হয় তাকে। খাবার ভেবে হাতি সেটি মুখে পুরতেই মুখের ভেতরে ফেটে যায়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার মুখ।

তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে একটু শান্তির জন্য হাতিটি নদীতে গিয়ে মুখ ডুবিয়ে রাখে। আর তার পেটের সন্তানটিকে রক্ষা করার শেষ চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। নদীতে তিনদিন দাঁড়িয়েই মৃত্যু হয় তার। হতভাগ্য অন্তঃসত্ত্বা এই হাতির করুণ পরিণতিতে গোটা দেশের মানুষের চোখে জল। মানুষ কেন এত হিংস্র? উত্তর নেই কারও কাছে।

এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে দেশজুড়ে। যদিও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই হাতিটিকে কে বা কারা বাজি ভর্তি আনারস খেতে দিয়েছিল সেটা জানালেই মিলবে ৫০ হাজার টাকা। এমনই ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন রতন টাটা।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Ratan Tata (@ratantata) on


ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রতন টাটা লিখেছেন, আমি ভাবতেও পারছি না মানুষ এমন কাজ করতে পারে। একটা অসহায়, নিরপরাধ, অবলা অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে আনারসের মধ্যে বাজি ভরে মেরে ফেলতে পারে! এ ভয়ংঙ্কর। এটা ভয়ানক ক্রিমিনাল কাজ। মানুষ খুন আর হাতি খুনের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। অবিলম্বে বিচার হোক। আশা করছি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।