Monday, May 6, 2024
দেশ

আমজনতাকে ন্যায্য মূল্যে ওষুধ পাইয়ে দেওয়ার ইচ্ছে, তরুণের সংস্থায় বিপুল লগ্নি রতন টাটার

মুম্বাই: ১৬ বছর বয়সেই অর্জুন দেশপাণ্ডের মনের ইচ্ছা ছিল, আমজনতা ন্যায্যমূল্যে ওষুধ পাবেন। মাত্র  ১৮-তেই স্বপ্ন সফল। তাঁর স্বপ্নকে চিরস্থায়ী করতে এগিয়ে আসলেন স্বয়ং রতন টাটা। ২০১৯ এর এপ্রিলে ১৬ বছর বয়সে ‘জেনেরিক আধার’ নামে স্টার্ট আপ খোলেন অর্জুন দেশপাণ্ডে। বৃহস্পতিবার ১৭ বছর বয়সী অর্জুনের ‘জেনেরিক আধার’-এ লগ্নি করলেন রতন টাটা। ওই সংস্থার ৫০ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন টাটা এমিরেটাস গ্রুপের চেয়ারম্যান রতন টাটা।

জানা গেছে, জেনেরিক আধার সরাসরি প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে। এরপর ওষুধ তৈরি করে সরাসরি পাঠানো হয় রিটেলার বা খুচরো বিক্রেতাদের কাছে। মাঝখানে কোনও মধ্যসত্ত্বভোগী না থাকায় খুব সহজেই ওষুধ পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের হাতে এবং ওষুধের দাম কম হয়।

অর্জুন দেশপাণ্ডের এই উদ্যোগের ফলে ওষুধ সুলভ মূল্যে দেশবাসীর কাছে পৌঁছে যায়। আপাতত শুধু ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের ওষুধ নিয়ে কাজ করছে অর্জুনের সংস্থা। অর্জুন জানিয়েছে, তবে খুব তাড়াতাড়ি ‘জেনেরিক আধার’ ক্যান্সারের ওষুধ নিয়েও কাজ করবে। সেক্ষেত্রেও চলতি বাজারদরের থেকে অনেক কম দামে রোগীদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে।


সরাসরি নির্মাতা কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ কিনে জেনেরিক আধার ১৬-২০ শতাংশ মুনাফা কম নিয়ে খুচরো বিক্রেতাদের সরবরাহ করে। তারপরও তাঁদের বার্ষিক মুনাফা প্রায় ৬ কোটি টাকা। আগামী তিন বছরে তাঁদের আয়ের লক্ষ্য ১৫০-২০০ কোটি টাকা । ফার্মাসিস্ট, তথ্য ও প্রযুক্তিবিদ ইঞ্জিনিয়ার ও মার্কেটিংয়ের লোকজন মিলিয়ে প্রায় ৫৫ জন কাজ করে জেনেরিক আধার সংস্থায়।

উল্লেখ্য, রতন টাটা এর আগেও এমন স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানে লগ্নি করেছেন। ২০১২-র ডিসেম্বরে অবসরের পর নিজের ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি আরএনটি অ্যাসোসিয়েটের মাধ্যমে রতন টাটা বিনিয়োগ করেছেন ওলা, পেটিএম, স্ন্যাপডিল, কিউরফিট, আরবান ল্যাডার, অবন্তী ফিন্যান্সের মতো সংস্থায়।