Sunday, May 19, 2024
দেশ

সোমনাথ মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

গান্ধীনগর: মোরারজি দেশাইয়ের পর সোমনাথ মন্দির (Somnath Temple) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির পরিচালন সমিতি। উল্লেখ্য, সোমনাথ মন্দির ট্রাস্টের অষ্টম চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন নরেন্দ্র মোদী এবং দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি এই পদে নির্বাচিত হলেন। এর আগে এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই (Morarji Desai)।

গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেলের মৃত্যুর পর থেকে সোমনাথ মন্দিরের চেয়ারম্যানের পদটি ফাঁকা পড়ে ছিল। ২০০৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর সোমনাথ মন্দিরের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন কেশুভাই প্যাটেল। গত বছরের অক্টোবরে প্রয়াত হন তিনি। নয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে সোমবার মন্দির পরিচালন সমিতি বৈঠকে বসেছিল। ট্রাস্ট সচিব পিকে লাহেরি জানিয়েছেন, সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান হিসাবে মোদীর নাম উঠে আসে।

সোমনাথ মন্দিরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইটে তিনি লিখেছেন, সোমনাথ মন্দিরের উন্নয়নে মোদীজির ভূমিকা অতুলনীয়। আমার পূর্ণ বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে সোমনাথ মন্দিরের গৌরব ও সম্মান আরও ত্বরান্বিত হবে।

উল্লেখ্য, মন্দির ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, এল কে আডবানি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জে ডি পারমার, শিল্পপতি হর্ষবর্ধন নেওটিয়া। লাহেরি  জানান, টাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নাম প্রস্তাব করেন অমিত শাহ। আমি এবং ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যরা সেই প্রস্তাবকে সমর্থন জানাই।

প্রসঙ্গত, সোমনাথ মন্দির একটি প্রসিদ্ধ শিব মন্দির। গুজরাটের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের বেরাবলের নিকটস্থ প্রভাস ক্ষেত্রে এই মন্দির অবস্থিত। এটি শিবের দ্বাদশ লিঙ্গের মধ্যে পবিত্রতম। সোমনাথ শব্দটির অর্থ ‘চন্দ্র দেবতার রক্ষাকর্তা’। সোমনাথ মন্দিরটি ‘চিরন্তন পীঠ’ নামে পরিচিত।অতীতে ছয় বার ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও মন্দিরটি পুনর্নিমিত করা হয়।

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দক্ষ প্রজাপতি কর্তৃক অভিশপ্ত হয়ে চন্দ্র প্রভাস তীর্থে শিবের আরাধনা করলে, শিব তাঁর অভিশাপ অংশত নির্মূল করেন। এই কারণে চন্দ্র সোমনাথে শিবের একটি স্বর্ণমন্দির নির্মাণ করেন। পরে রাবণ রৌপ্য ও কৃষ্ণ চন্দনকাষ্ঠ দ্বারা মন্দিরটি পুনর্নিমাণ করেছিলেন। গুজরাটের সোলাঙ্কি শাসক ভীমদেব মন্দিরটি নির্মাণ করেন।