তিব্বত নিয়ে দুশ্চিন্তায় চিন
নয়াদিল্লি: ১৯৫১ সালের ২১ মার্চ চিন গায়ের জোরে তিব্বত দখল করে নেয়। ১৯৫৯ সালে তিব্বত ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন দালাই লামা। তিনি চিনকে মান্যতা না দিয়ে ভারতে বসে নির্বাচিত তিব্বতি সরকার পরিচালনা করেন। তিব্বতে দালাই লামার জনপ্রিয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল চিন। তিব্বত চিনের জন্য এক আন্তর্জাতিক দুর্বলতাও বটে। তিব্বতিদের উপর দমন-পীড়ন নিয়ে বরাবরই সোচ্চার আন্তর্জাতিক মহল।
২০১১ সালে দালাই লামা সব রাজনৈতিক দায়িত্ব ত্যাগ করলে চিনের চাপ কিছুটা কমে। তবে ভারত কেন্দ্রীক সেন্ট্রাল তিব্বত এডমিনিস্ট্রেশন (Central Tibetan Administration) নামে পরিচিত প্রবাসী সরকার চিনের দুশ্চিন্তায় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই এডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট পদ সিকিয়ং (Sikyong) নামে পরিচিত।
গত ২৭ মে নতুন সিকিয়ং হিসেবে শপথ নিয়েছেন পেম্পা তরজিং (Penpa Tsering)। গত জানুয়ারি ও এপ্রিলে দুই ধাপে সিকিয়ং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ২৬টি দেশ থেকে ৬৪ হাজার তিব্বতি ভোট দিয়েছেন। শপথ গ্রহণের পর চিন-তিব্বত সংলাপ পুনরায় চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি, মধ্যপন্থা অনুসরণের কথাও বলেছেন তিনি।
প্রবাসী তিব্বত সরকারের কন্ঠস্বর আরো তীব্র হওয়ার ঝুঁকি দেখছে চিন সরকার। বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকে বিশ্বের দৃষ্টি ফেরানোর জন্য প্রবাসী সরকারের চেষ্টা ভয় ধরাচ্ছে চিনকে। অন্যদিকে, ক্রমবর্ধমান যুক্তরাষ্ট্র-চিন দ্বন্দ্ব তিব্বত ইস্যুকে চিনের সামনে আরও সংকটময় করে তুলছে। – দ্য ইন্টারপ্রেটার