Saturday, May 18, 2024
রাজ্য​

২০২১-এ একটাই স্লোগান হবে- ‘চাল চোর তৃণমূল’, গর্জে উঠলেন লকেট

হুগলি: করোনা আবহে লকডাউনের জেরে রেশনের উপর অনেকেই ভরসা করছেন। তবে রাজ্য জুড়েই রেশন নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কোথাও পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে আবার কোথাও নিম্নমানের সামগ্রী। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রেশন-দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। ডিলারকে বেধে রাখা, ডিলারের বাড়ির সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, রেশন দোকানে হামলার ঘটনা শোনা যাচ্ছে।

এবার এই রেশন-দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল তথা রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণে দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এবার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। প্রতিবাদ থেমে থাকবে না। অন্যায় হলে মানুষ প্রতিবাদ করবেই। আমরা মানুষের পাশে থাকি তাই আমরাও প্রতিবাদ করব।

ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় লকেট বলেন, করোনা লকডাউনে রেশন নিয়ে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছে রাজ্যের। কেন্দ্রের চাল রেশনে যাচ্ছে না, চলে যাচ্ছে সোজা কোনও বেসরকারি মিলে। সেখানে গিয়ে তৃণূল নেতারা বণ্টন করে নিচ্ছেন। মানুষই বলছে তৃণমূল নেতারা চাল চোর।

লকেট চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, এতদনি খাদ্যসাথী নাম দিয়ে কেন্দ্রের চাল, ডাল, গম দিচ্ছিল রাজ্য সরকার। মুখে বলছিল, এসব কিছুই কেন্দ্র দেয় না, রাজ্যই সব কিছু দিচ্ছে। তাই এই খাদ্যসাথী প্রকল্প রাজ্যের। এখন কঠিল সময়েই বোঝা যাচ্ছে কারা চাল, ডাল, গম ইত্যাদি রেশনের দ্রব্য পাঠায়। রাজ্য এখন চিৎকার করছে, কেন্দ্র চাল,ডাল, গম পাঠাচ্ছে না। এখানেই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে রাজ্য এতদিন মিথ্যা বলত।

লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কেন্দ্র যে সব চাল পাঠাচ্ছে তা লুঠ করে নিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। মানুষ দেখতে পচ্ছে চাল লুঠ করছেন কারা। তাই ২০২১-এর জবাব দিতে হবে তৃণমূলকে। দিতে হবে খেসারত। মানুষ জবাব চাইবে চাল চোর তৃণমূলের কাছে। লকেটের কথায়, আর কোনও ইস্যু নয়, ২০২১-এ একটাই স্লোগান হবে ‘চাল চোর তৃণমূল’।