করোনাকালে কর্মী ছাঁটাই অসংবেদনশীলতার পরিচয়: রতন টাটা
মুম্বাই: করোনা মোকাবিলায় দেশে দফায় দফায় চলছে লকডাউন। যার জেরে দেশের অর্থনীতির নাজুক অবস্থা। কাজ-কর্ম হারিয়ে অনেকেই খুব অসহায় জীবন-যাপন করছেন। কেননা করোনা আবহে বহু সংস্থা কর্মী ছাঁটাই অভিযানে নেমেছে। কোন বেসরকারি সংস্থা যাতে কর্মী ছাঁটাই না করে, সেই অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করেছে। এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন রতন টাটা।
টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটা কথায়, ভারতের বেশ কিছু কর্পোরেট সংস্থা যে ভাবে কর্মী ছাঁটাই করেছে তা খুবই হঠকারী সিদ্ধান্ত। এর থেকে বোঝা যায়, এ সব সংস্থার নেতৃত্বস্থানে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও সহানুভূতি নেই। রতন টাটা বলেন, এই মানুষগুলিই আপনার জন্য কাজ করেছেন। তাঁদের আপনার সংস্থার জন্য নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। আর সংকটকালে তাদের মাথা থেকেই কিনা ছাদ কেড়ে নিলেন! কর্মীদের প্রতি আচরণের এই আপনাদের নমুনা? নৈতিকতা বোধ?
রতন টাটা কথায়, করোনা সংকটকালে কর্মী ছাঁটাই করা অত্যন্ত অসংবেদনশীলতা পরিচয়। এর থেকে বোঝা যায় সংস্থার মালিকদের কোন নৈতিকতা বোধ নেই। রতন টাটা বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাইকে একসাথে লড়াই করতে হবে।
রতন টাটা বলেন, কোনও প্রতিষ্ঠান যদি তাঁর কর্মীদের প্রতি সংবেদনশীল না হয়, তা হলে সেই সংস্থাও টিকে থাকতে পারে না। আপনি যেই হোন না কেন, আর যাই করুন না কেন, করোনা সংকটে সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সকলে মিলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পথ বের করতে হবে। যেমন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম (বাড়ি থেকে কাজ করা) একটা সমাধানের পথ হতে পারে, কিন্তু কর্মী ছাঁটাই কোনও সমাধানের পথ নয়। ভুলে গেলে চলবে না, কঠিন সময়ের পরেই নতুন পথ বেরোয়।
রতন টাটা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে সবাই তো মুনাফার পিছনে ছুটছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কতটা নৈতিকতার সঙ্গে তা করছে। ব্যবসা মানেই শুধু মুনাফা অর্জন নয়। ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাঁরা জড়িয়ে রয়েছেন তাঁদের এবং গ্রাহকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নৈতিকতার পথে চলতে হয়।