Thursday, May 16, 2024
কলকাতা

বাজির ধোঁয়ায় মেঘলা আকাশ, বিষে পাল্লা দিল্লিকেও

কলকাতা: কালীপুজোর রাতে বাতাসে দূষণের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেল। সৌজন্যে শহর জুড়ে শব্দবাজি ও আতসবাজির দাপট! রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বলছে, সহনশীল মাত্রার থেকে সেই দূষণের পরিমাণ ছিল প্রায় ছ’গুণ বেশি। ছাপিয়ে গেল রাজধানী দিল্লিকেও। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রেকর্ড অনুযায়ী, কালীপুজোর পরদিনের সকালের দূষণমাত্রায় দিল্লির সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়েছে কলকাতা। কখনও দিল্লির কয়েকটি জায়গাকে ছাপিয়েও গিয়েছে।

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত শহরের দু’প্রান্তে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার গড় পরিমাণ ছিল ৩৫০ এর কাছাকাছি। স্বাভাবিক মাত্রা থাকার কথা যেখানে ৬০ মাইক্রোগ্রাম। অর্থাৎ প্রায় ছ’গুণ বেশি। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত এই মাত্রা ছিল আরও বেশি।

পর্ষদের রেকর্ড বলছে, বুধবার সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়ার কাছে স্বয়ংক্রিয় মনিটরিং স্টেশনে পিএম ২.৫-এর ইনডেক্স ছিল ৩৪০, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিটরিং স্টেশনে ছিল ৩৪৩, যা সরকারি নিরিখেই ‘অত্যন্ত খারাপ’। আর পিএম-১০ এর মাত্রা ছিল যথাক্রমে ২১৭ ও ২৩৭। থাকার কথা যেখানে প্রতি ঘনমিটারে ১০০ মাইক্রোগ্রাম। পিএম ২.৫-এর মাত্রা কালীপুজোর রাত থেকে এ দিন ভোর ৪টার মধ্যে ৫০০-ও ছাপিয়ে গিয়েছিল।

রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণ নিয়ে প্রশাসনিক কড়াকড়ি থাকা সত্বেও সেখানে বায়ু দূষণের পরিস্থিতি ‘খারাপ’ থেকে ‘খুব খারাপ’-এ আবারও নেমে এসেছে। দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বলছে, এদিন রাতে রাত ১১ টার সময় এই মাত্রা ছিল ৩০২।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উল্লিখিত মাপকাঠি অনুযায়ী, ওই ভাসমান ধূলিকণার সহনশীল মাত্রা হল প্রতি ঘনমিটারে ১০০ মাইক্রোগ্রাম। ওই নির্দিষ্ট মাত্রা ছাড়ালেই শ্বাসকষ্টের রোগীদের শ্বাসের সমস্যা ধীরে ধীরে শুরু হয়। ওই মাত্রা যথাক্রমে ২০০, ৩০০ ও ৪০০ মাইক্রোগ্রাম হলে পরিস্থিতি ‘খারাপ’, ‘খুব খারাপ’ ও ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে পরিগণিত হয়। অর্থাৎ, বাজি পোড়ানোর ফলে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ সহনশীল মাত্রার থেকে প্রায় ছ’গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।