Friday, May 3, 2024
রাজ্য​

জ্যোতির্ময়: কলকাতা থেকে সুন্দরবন প্রেম এবং বেদান্ত ছড়িয়ে দেওয়ার এক যাত্রা

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দেবীপক্ষের সূচনায় কলকাতা থেকে কিছু ছেলে-মেয়ের দল আর জামা-খাবার বোঝাই একটা স্বপ্ন ছুটে চললো সুন্দরবনের ঝড়খালির দিকে। 

স্বপ্নটা ছেলেমেয়েগুলোকে দেখিয়েছে তাদের প্রাণের থেকেও প্রিয় গুরুদেব “ভগবান”। তাদের লক্ষ্য ছিল খাদ্য, বস্ত্র সরবরাহ করা এবং তাদের প্রিয় গুরু, “ভগবান” দ্বারা অনুপ্রাণিত তাদের মধ্যে বেদান্ত ছড়িয়ে দেওয়া।  তারা গর্বের সাথে “আন্তর্জাতিক বেদান্ত সোসাইটি” নামে একটি সংস্থার সাথে যুক্ত।  অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েরা নিজেদেরকে ভগবানের সন্তান বলে মনে করে যা তাঁর প্রতি তাদের গভীর ভালবাসা, ভক্তি এবং প্রশংসা প্রতিফলিত করে।

এই উদ্যোগ সফল করার জন্য তারা “কাটজুনগর হেল্পিং হ্যান্ড সোসাইটি” নামে একটি কলকাতা ভিত্তিক এনজিওর সাথে সহযোগিতা করেছিল, যা তাদের প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।  সংগঠনটি পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঋতুচক্র সচেতনতা, ডিজিটাল লিটারেসি, স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং নারীর ক্ষমতায়ন থেকে তারা গত 9 বছর ধরে সমাজের সেবা করে আসছে।

তাদের এই উদ্দেশে যোগ দেন শ্রীমতী ব্রততী ভট্টাচার্য। যার গান টিভি, রেডিও তে শুনে আমরা সবাই মন্ত্র মুগ্ধ। 

ভগবানের শিক্ষা বেদান্ত, প্রেম এবং নিঃস্বার্থতার নীতিগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দেয়।  তিনি ক্রমাগত তার ভক্তদের মানবতার সেবায় এবং অভাবীদের সাহায্য করার জন্য নিজেকে উত্সর্গ করতে উত্সাহিত করেছেন।  এই আদর্শগুলিকে মাথায় রেখে, দলের স্বপ্ন তাদের সুন্দরবনের ঝাড়খালি এলাকার কাছে একটি স্কুলে নিয়ে যায়।

সেই ভালবাসা ভাগ করে নেওয়ার আশায় স্বপ্নগুলো ছুটে চলে ঝড়খালির একটি স্কুলের দিকে। যেখানে বাচ্ছারা, মায়েরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই আন্তরিক ছেলে মেয়েগুলোর জন্য।

প্রথমে গুরুপূজার মাধ্যমে শুরু হলো অনুষ্ঠান। বাচ্চাদের সাথে হাসি মজা গল্পের ছলে অদ্বৈত বেদান্তের বাণী তাদের কানে কিছুটা ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো যেখানে বলা হচ্ছে – তোমার ভিতরে সর্বশক্তি, তুমি চাইলে এই অনুভব করতে পারো এবং তারপরেও পৃথিবীর সব কাজ এখনের থেকে আরো বেশি বেশি করে করতে পারো। 

তারা একটি পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যেখানে তারা ২২২ জন ছেলে ও মেয়েকে নতুন পোশাক এবং ১১৪ জন  মহিলাকে শাড়ি, বিস্কুট, হরলিক্সের প্যাকেট এবং মিষ্টি প্রদান করে।  প্রাপকরা অশ্রুসিক্ত হাসির সাথে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন, যেই হাসি গত ২২ দিন যাবৎ দৌড়াদৌড়ি নিরলস প্রচেষ্টার পরে এসেছে।

“মানুষ-ই-ভগবান” এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে এই দল টা আরো এগিয়ে যাবে একটা পরিবর্তন আনার জন্য এই সমাজে। এমন এক সমাজ যেখানে মানুষ একে অপরকে নিঃশর্ত ভাবে ভালবাসে।