Sunday, May 19, 2024
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ে এক রাতে ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ফের আক্রান্ত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এক রাতে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত সময়ে উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই খবর নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যানাথ বর্মণ জানিয়েছেন, ১৫টি মন্দিরের মধ্যে ধনতলা ইউনিয়নে নয়টি, চাড়োল ইউনিয়নে একটি এবং পাড়িয়া ইউনিয়নে চারটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডি থেকে টাকাহারা পর্যন্ত একটি হরিবাসর মন্দির, একটি কৃষ্ণ ঠাকুর মন্দির, পাঁচটি মনসা মন্দির, একটি লক্ষ্মী মন্দির ও একটি কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।”

“এ ছাড়া চাড়োল ইউনিয়নে একটি কালীমন্দির, পাড়িয়া ইউনিয়নে একটি বুড়া-বুড়ি মন্দির, একটি লক্ষ্মী মন্দির, একটি আমাতি মন্দির এবং একটি মাসানমাঠ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।”

বিদ্যানাথ বর্মণ বলেন, “প্রতিমাগুলোর হাত-পা, মাথা ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেছে। আবার কিছু প্রতিমা ভেঙে পুকুরের জলে ফেলে রেখেছে।”

‘দুর্বৃত্তরা’ এ ঘটনা ঘটিয়েছে উল্লেখ করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা চাই, প্রশাসন ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করুক। সেইসঙ্গে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হোক।”

মন্দিরের প্রতিমা ভাঙার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার কাছে মনে হয়েছে ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ঘটনাটি কে করেছে বা কারা করেছে; এজন্য আমরা অবশ্যই মামলা নেব। সেই সঙ্গে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ বলেন, “এই মন্দিরটি বড় ও ঐতিহ্যবাহী। অনেক মানুষ এখানে প্রতিনিয়ত আসেন। এই মন্দিরের সবগুলো প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও আতঙ্কের। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই, জড়িতদের খুঁজে বের করুক প্রশাসন।”

সিন্দুরপিণ্ডি এলাকার বাসিন্দা কাশীনাথ সিংহ বলেন, “হঠাৎ করে কে বা কারা রাতের আঁধারে প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে। এতে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।”

তথ্যসূত্র: বিডি নিউজ ২৪ , ভোরের কাগজ