Monday, November 17, 2025
আন্তর্জাতিক

ভালো নেই পাকিস্তানের হিন্দুরা, বছরে হাজারের বেশি নাবালিকাকে ইসলামে ধর্মান্তরণ

ইসলামাবাদ: ফের পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র সামনে এল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিমুহূর্তেই পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। প্রতি বছর হাজারের বেশি হিন্দু বা খ্রিস্টান মেয়েকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এক কথায় পাশবিক ও অমানবিকতার চরম নির্দশন পাকিস্তানে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে এখন চরম সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ইমরান খানের প্রশাসন ব্যর্থ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে। রিপোর্টে পাক সরকারকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এসব ঘৃণ্য কাজে পাকিস্তানের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতারা উসকানি দেন বলেও অভিযোগ।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশটির বর্তমান শাসক দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফের বৈষম্যমূলক কার্যকলাপের কারণেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব সঙ্কটে। বিশেষত হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ মহিলাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এই ধর্ম সম্প্রদায়ের কিশোরীদের স্কুলে পড়ার সময় থেকেই টার্গেট করা হয়। জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে ইসলাম ধর্মে কবুল করা হয়। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পাক সরকার সবকিছু জেনেও মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। কোনও ব্যবস্থাই নেয় না।

সম্প্রতি তাম্বু সাহিব গুরুদ্বারের পুরোহিত ভগবান সিংয়ের মেয়ে জগজিৎ কৌরকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। জোর করে ধর্মান্তরণ করায় ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল লাহোর। এছাড়া পাঞ্জাবের এক হিন্দু কিশোরীকে জোর করে মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ের অভিযোগ উঠেছিল। বিয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার বাসিন্দা দুই বোন রিনা ও রবীনাকে ধর্মান্তরণ এবং জোর করে মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ের অভিযোগে উঠেছিল। যা চরম অস্বস্তিতে ফেলেছিল ইমরান খান সরকারকে। গত সপ্তাহেই ৪ জন হিন্দু ও ৩ জন খ্রিস্টান মেয়েকে জোরপূর্বক ইসলাম কবুল করানো হয়েছে।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।