Sunday, May 5, 2024
FEATUREDকলকাতা

ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেল কলকাতার দুর্গাপুজো

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বাঙালির গর্বের দিন আজ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিল ইউনেস্কো। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেল কলকাতার দুর্গাপুজো। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্যারিসে আন্তঃসরকার কমিটির ১৬ তম অধিবেশন চলছে। এই অধিবেশন চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই অধিবেশনেই কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিল ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি।

বুধবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো গৌরবের একটি নতুন মুকুট অর্জন করল। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, “দুর্গাপুজো ধর্ম, লিঙ্গ এবং গরিব-ধনী বাধা পেরিয়ে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করার পদ্ধতির জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।”

ইউনেস্কো তাঁদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লিখেছে, “দুর্গাপুজোকে ধর্ম ও শিল্পের সর্বজনীন মিলল ক্ষেত্রের সর্বোত্তম উদাহরণ হিসাবে দেখা হয় এবং সহযোগী শিল্পী ও ডিজাইনারদের জন্য একটি সমৃদ্ধ স্থল হিসাবে দেখা হয়। উৎসবটি শহুরে এলাকায় বড় আকারের স্থাপনা এবং মণ্ডপগুলির পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ঢাক বাজানো এবং দেবীর পুজো করা হয়।  উৎসব চলাকালীন, শ্রেণী, ধর্ম এবং জাতিগত বিভাজন ভেঙ্গে সবাই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে প্রতিমা দর্শন করেন।”


এর আগে ২০১৭ সালে কুম্ব মেলা এবং ২০১৬ সালে যোগচর্চা হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১৪ সালে পাঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পিতল এবং তামার কারুকাজ, ২০১৩ সালে মণিপুরের সংকীর্তন অনুষ্ঠান হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে।

২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার ছৌ নাচ, কেরলের মুদিয়েত্তু লোক নৃত্যনাট্য এবং রাজস্থানের কালবেলিয়া লোকগীতি ও নৃত্য হেরিটেজ স্বীকৃতি পায়। কুটিয়াত্তম সংস্কৃত থিয়েটার, রামলীলা, বৈদিক জপের ঐতিহ্য এবং লাদাখের বৌদ্ধ নাম-জপও এই স্বীকৃতি পেয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন বিভাগ সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। পরবর্তীতে রাজ্যের প্রস্তাবকে সমর্থন করে কেন্দ্র এবং বিষয়টি ইউনেস্কোর কাছে পেশ করে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। সেই প্রস্তাবকে মেনে নিয়ে বুধবার এই স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো।