Sunday, May 5, 2024
রাজ্য​

একটি ফোন নম্বরে ৭ হাজার দরখস্ত, কোটি কোটি টাকার ত্রাণ দুর্নীতি, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

মালদহ: বছর চারেক আগে বন্যায় বাড়ি-ঘর ভেঙে গিয়েছিল মালদহের বিভিন্ন এলাকার। কেউ কেউ ভাঙা বাড়িতে ত্রিপল খাটিয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। সরকারি ত্রাণ খাতায়-কলমে পৌঁছালেও হাতে পাননি তাঁরা। তাহলে সরকারি ত্রাণ কোথায় গেল! সেই বন্যা ত্রাণের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করলেন খোদ বিডিও। এই ঘটনায় ঘটেছে মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে।

২০১৭ সালের আগস্টে মালদহে ব্যাপক বন্যা হয়। কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, যাঁদের বাড়ি-ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে তাঁরা ৭০ হাজার টাকা করে পাবেন। অভিযোগ, সেই ত্রাণের টাকায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।

খতিয়ে দেখা যায় প্রায় ১৪ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে প্রায় সাত হাজার আবেদনপত্রে ফোন নম্বর একটি। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও আবেদনপত্রে একাধিকবার পাওয়া যায়। অভিযোগ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বন্যা ত্রাণ পাননি এক টাকাও। অভিযোগ, ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে তা আত্মসাৎ করেন পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি সাহা।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি সাহার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন বিডিও নিজেই। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। তবে প্রশাসনও তদন্তে ঢিলেমি শুরু করে। তাই বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।

হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট ফের এই মামলার শুনানি। রাজ্য কেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা পাইয়ে পারিনি তা নিয়েও তুমুল ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, রাজ্য সরকার কি এতদিন ধরে ঘুমাচ্ছিল?