Friday, May 17, 2024
সম্পাদকীয়

দক্ষিণ শ্রীহট্টের সাধুহাটি গ্রামের বিপ্লবী শ্রী অনঙ্গ মোহন দাম এর জন্ম বার্ষিকী

সংগ্রাম দত্ত: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের কথা তুললেই প্রথমে মনে আসে তাঁর সেনাধ্যক্ষ, উপেক্ষিত বিপ্লবী শ্রী অনঙ্গ মোহন দাম এর কথা । প্রেসিডেন্সি কলেজে সুভাষচন্দ্র বোসের জীবনের প্রথম প্রতীক ঘটনা ‘অপারেশন অধ্যাপক ওটেন’-এর সেনাধ্যক্ষ ছিলেন অনঙ্গ । শ্রীহট্টের দক্ষিণ শ্রীহট্টের ( শ্রীহট্ট বর্তমানে সিলেট ও দক্ষিণ শ্রীহট্ট বর্তমানে মৌলভীবাজার) সন্নিকট সাধুহাটি গ্রামের সন্তান ছিলেন অনঙ্গ । 

জন্মসাল ১৮৯০ কিংবা ১৮৯৩ নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও জন্মতারিখ ১০ই ডিসেম্বর সেটা সুনিশ্চিত । পিতা অভয়া কুমার দামের জমিদারি ছিলো দক্ষিণ শ্রীহট্টের (বর্তমানে মৌলভীবাজার) সতেরো সতী পরগণা এবং বাউরভাগ অঞ্চলে । ব্রিটিশরাজের দেয়া রায়সাহেব খেতাব যদিও অভয়া কুমার পেয়েছিলেন তথাপি স্বদেশী মনোভাবাপন্নের কারণে কোনোদিন তা ব্যবহার করেননি । অভয়া-নয়ানবাসী দম্পতির জেষ্ট্য পুত্র ছিলেন অনঙ্গ । 

বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে উত্তাল বঙ্গদেশ, সেই ঢেউ এসে লেগেছে অসমের শ্রীহট্টে । এমনই এক সময়ে তেরো বছরের বালক অনঙ্গ শ্রীহট্টের রাজা গিরিশচন্দ্র স্কুলে পড়তে আসে । শ্রীহট্টের গোবিন্দচরণ পার্ক(বর্তমানে হাসান মার্কেট) এবং রতনমণি লোকনাথ টাউন হল(অধুনা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিবহন পুল) এ বিখ্যাত বাগ্মী শ্রী বিপিনচন্দ্র পাল এবং বিপ্লবী ডাক্তার সুন্দরীমোহন দাসের ভাষণে অনুপ্রাণিত সদ্য কৈশোরে অবতীর্ন অনঙ্গ স্বদেশী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকের তালিকায় নাম লেখান । মূলতঃ তখন থেকেই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন তাঁর মাথায় ঘুরপাক খেতো । এতোটাই মেধাবী ছিলো দক্ষিণ শ্রীহট্টের অনঙ্গ, স্বদেশী আন্দোলন করা সত্ত্বেও ১৯০৯ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্কলারশিপ পেয়ে এন্ট্রান্স পরীক্ষা উত্তীর্ণ হোন ।

পিতা অভয়া কুমার দাম প্রয়াণের পর জেষ্ট্যপুত্র হিসেবে অনঙ্গ মোহন পৈতৃক জমিদারী দেখাশুনা করতে অপারগতা প্রকাশ করায় কাকা শ্রী শিবসুন্দর দাম মহোদয় জমিদারী দেখাশুনার দায়িত্ব নেন । 

উচ্চশিক্ষার্থে কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয় অনঙ্গ । সেসময় তাঁর সহপাঠীদের মধ্যে ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জী, পুলিনবিহারী সরকার প্রমুখ । প্রেসিডেন্সি কলেজের ইডেন হিন্দু হোস্টেলের আবাসিক ছাত্র ছিল অনঙ্গ । প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়নকালে যুগান্তর দলের সংস্পর্শে আসে অনঙ্গ । পুলিশের সন্দেহ ও ধরপাকড়ে পড়ে অনঙ্গ । নানান প্রতিকূলতায় দর্শনশাস্ত্রে সম্মানসহ স্নাতক উত্তীর্ণ হন অনঙ্গ । বিপ্লবীকার্যে সময় অতিবাহিত হবার দরুন ফার্স্ট ক্লাস পাননি, সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছিলেন । অতঃপর স্নাতকোত্তর এম.এ শুরু করেন । আবারও ১০ই ডিসেম্বর ১৯১৫, ঐদিন প্রেসিডেন্সি কলেজে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুকে ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান সফরের জন্য সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছিল । সেদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে অনঙ্গ মোহন রচিত সমবেত সংগীত ছাত্ররা পরিবেশন করেছিল । ছাত্রদের দ্বারা মুখপাত্র মনোনীত হয়ে অনঙ্গ মোহন দাম ছাত্রদের পক্ষ থেকে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুকে অভিবাদন জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রেখেছিলেন । উক্ত অনুষ্ঠানে স্বয়ং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন । পরবর্তীতে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের সঙ্গে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন । 

পিতা অভয়া কুমার দামের অভিপ্রায় ছিল পুত্র অনঙ্গ ব্যারিস্টার হবেন । সেজন্য অনঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন । অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীর আশায় ১৯১৪ সালে ১নং কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে(অধুনা, বিধান সরণীর লর্ড কর্নওয়ালিস বিল্ডিং) একটা বইয়ের দোকানও খুলেছিলেন । ভেবেছিলেন দোকানের আয় থেকে তাঁর আইন পড়াশুনা, ইত্যাদির খরচ উঠে আসবে । কিন্তু প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিতাড়িত হবার পর সে বছরই অর্থাৎ ১৯১৬ সালের জুলাই মাসে তাঁকে সেই বইয়ের দোকান থেকেই ‘ভারত রক্ষা আইন’-এ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । শোনা যায় যে, তিনি তাঁর বাড়ী থেকে পাওয়া টাকা এবং বইয়ের দোকানের আয় থেকে গরীব ছাত্রদের এবং বিপ্লবীদের সাহায্য করতেন । তাছাড়া সেই বইয়ের দোকানে বিপ্লবী ছাত্রদের আনাগোনা ছিল । প্রথমে তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে’র ‘পলিটিক্যাল সেলে’ রাখা হয়েছিল । পরে তাঁকে বাঙলা প্রদেশ থেকে বহিষ্কার করে অসমের কোনো এক জায়গায় অন্তরীণ করা হয়েছিল । শেষ দিকে স্বাস্থ্যের চরম অবনতির কারণে তাঁকে শ্রীহট্টের নিজ বাড়ী সাধুহাটিতে অন্তরীণ করা হয় । সেটা সম্ভব হয়েছিল পিতা রায়সাহেব অভয়া কুমার দাম এবং তৎকালীণ আসাম প্রাদেশিক গভর্ণরের সুসম্পর্কের কারণে । 

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি, মার্চ ১৯২০ মুক্ত হন অনঙ্গ । সে বছরের সেপ্টেম্বরে কলিকাতায় লালা লাজপত রায়ের পৌরহিত্যে জাতীয় কংগ্রেসের যে বিশেষ অধিবেশন হয়েছিল তাতে অনঙ্গ মোহন দাম শ্রীহট্ট জিলা থেকে কংগ্রেসের প্রতিনিধিরূপে অংশগ্রহণ করেছিলেন । সেই অধিবেশনে অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব পাস হয় । ইংল্যান্ডের যুবরাজ প্রিন্স অব ওয়েলস্-এর ভারত সফরের জন্য হরতাল ও বয়কট সফল হয়েছিল কলিকাতায় । সেটা সফল করতে সুভাষচন্দ্র বসুর বিরাট ভূমিকা ছিল । অনঙ্গ তখন স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর অধিনায়ক । কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, সুভাষচন্দ্র বোস, কিরণশঙ্কর রায় প্রমুখেরা গ্রেপ্তার হয়ে যাওয়ায় দেশবন্ধু জেলের বাইরে থাকা অনঙ্গ মোহন দামকে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং অনঙ্গ মোহন সে কাজ খুব সফলতার সাথে করতে পেরেছিলেন । এতে গান্ধীজীও তাঁকে আশীর্বচন পাঠিয়েছিলেন ।   

সেই সময়ে নো-ট্যাক্স মুভমেন্টের একটা প্রস্তাব চলছিল বাঙলা প্রাদেশিক কংগ্রেসে । পণ্ডিত শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী; অনঙ্গ মোহন দামকে পাঠিয়েছিলেন দিল্লিতে গান্ধীজীর কাছে । দিল্লির দরিয়াগঞ্জে ডাক্তার মুখতার আহমেদ আনসারির বাড়ীতে গান্ধীজীর সাথে দেখা করলে গান্ধীজী সেই নো-ট্যাক্স মুভমেন্ট অনুমোদন করলেন না । বরঞ্চ তিনি অনঙ্গ মোহন দামকে উপদেশ দিলেন যে কংগ্রেসের সদস্যদের গ্রামে যেতে বলতে এবং সবাইকে গ্রাম পুনর্গঠনের কাজে মনোনিবেশ করতে । অনঙ্গ মোহন ফিরে এসে গান্ধীজীর কথামতো বৃহত্তর শ্রীহট্ট অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে চলে যান, এবং শিক্ষাবিস্তার, অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হন । 

১৯৪৩ সাল, সিদ্ধান্ত হয় ‘ভারত ছাড় আন্দোলন’এ যাঁরা সক্রিয় ছিলেন তাঁরা দিল্লিতে আইনসভায় যোগ দেবেন । অনঙ্গ মোহন দামকে সে সময় বরাক-সুরমা উপত্যকা থেকে কেন্দ্রীয় আইন সভায় নির্বাচিত করা হয়েছিল, তিনি দিল্লিতে আইনসভায় যোগ দেন । শ্রীহট্টসহ অসমের উন্নতিকল্পে তিনি কাজ করেছিলেন মন্ত্রী শ্রী গোপাল স্বামী আয়েঙ্গারের নেতৃত্বে । কিন্তু দেশভাগের পর কেন্দ্রীয় আইন সভায় তাঁর সদস্যপদ রদ হয়ে যায় । দেশভাগের কথা যখন তুঙ্গে, তখন কিছু স্বার্থান্বেষী অসমিয়া এবং আসামের প্রভাবশালী মুসলিমরা এই সুযোগে শ্রীহট্ট এবং শ্রীহট্টীয়দের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে চাইছিল । কিন্তু মূলতঃ পার্টিশন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল শুধু পাঞ্জাব এবং বাঙলা প্রদেশ । ১৮৭৪ সালের পর থেকে শ্রীহট্ট ছিল আসামের অংশ । অসমীয়রা শ্রীহট্টীয়দের কখনো পছন্দ করতো না । তাঁরা মনে করত যে, শ্রীহট্ট ভারত তথা আসামের অন্তর্ভুক্ত থাকলে শ্রীহট্টীয়দের আধিপত্য থেকে যাবে । তাই তাঁরা নেহেরু এবং মাউন্টব্যাটেনের যোগসাজশে শ্রীহট্ট রেফারেন্ডাম করার ঘৃণ্য চক্রান্ত শুরু করে । অনঙ্গ মোহনের নেতৃত্বে শ্রীহট্টীয়রা এই অপচেষ্টাকে বিফল করার জন্যে সচেষ্ট হন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব-স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন । অনঙ্গ মোহন তখন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রীহট্ট কিছুদিন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনাধীনে রাখতে পরামর্শ দেন । 

কিন্তু প্যাটেল বলেছিলেন, “Sylhet being such a far off place from Delhi, almost in the North East Frontier, and you are saying that Sylhet should be kept under the Central administration? Dam, your idea is non-sense.” 

প্রত্যুত্তরে অনঙ্গ মোহন বলেছিলেন, “Sardarji, you shall have to revise your opinion.” 

কিন্তু যখন শ্রীহট্টে রেফারেন্ডাম বা গণভোট করার সিদ্ধান্ত হল তখন নেহেরু এবং মাউন্টব্যাটেন জিন্নাকে খুশি করার জন্য আসামের সেই স্বার্থান্বেষী লোকেদের পরামর্শমতো শ্রীহট্টের চা বাগানের অসংখ্য শ্রমিকদের পরিযায়ী শ্রমিকের তকমা লাগিয়ে রেফারেন্ডামে অংশ নিতে দেবেন না বলে ঠিক করলেন । কংগ্রেসের কোন নেতাই এই অসত্যের প্রতিবাদ করলেন না । তখন শ্রীহট্টের চা শ্রমিকদের একটা প্রতিনিধি দল অনঙ্গ সমেত দিল্লি যান এবং তাঁদের গণভোটে অংশ নেবার অধিকার কেড়ে নেবার ব্যাপারে প্রবল আপত্তি জানান । কিন্তু মাউন্টব্যাটেন ও নেহেরু তখন এই চক্রান্তের সাথে জড়িত হয়ে পরেছেন । তাঁরা এই আপত্তি শুনলেন না । তখন অনঙ্গ মোহন আবার সর্দার প্যাটেলের কাছে ছুটে গিয়ে তাঁকে বুঝান, প্যাটেল এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন । অনঙ্গ মোহন তখন শ্রীহট্টকে কাছাড়, ত্রিপুরার সমতল অঞ্চল ও মণিপুরের সাথে জুড়ে দিয়ে পূর্বাচল নামে একটা ভিন্ন প্রদেশ গঠন করার পরামর্শও দিয়েছিলেন । তিনি জানান যে এতে ত্রিপুরার মহারাজেরও সমর্থন এবং উৎসাহ আছে । বল্লভভাই প্যাটেল তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি জানান যে ব্যাপারটা তাঁর হাতের বাইরে চলে গেছে । সব এখন ভাইসরয়ের হাতে। তবু তিনি অনঙ্গ মোহনকে গান্ধীজীর কাছে যেতে বলেন । তিনি জানান যে কেউ যদি কিছু করতে পারে তবে তিনি কেবলমাত্র গান্ধীজী । গান্ধীজী সব শুনেও মৌন থাকেন । গান্ধীজী তখন হাবভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর কিছু করার ইচ্ছে নেই । সেসময়ে জওহরলাল নেহেরু এবং বল্লভভাই প্যাটেলের সাথেও অনঙ্গ মোহন দামের বাকবিতণ্ডা হয়েছিল । অনঙ্গ মোহন দামের কাছে এই নেতাদের উপর শ্রদ্ধা অনেক কমে যায় ।    

মর্মাহত অনঙ্গ মোহন দাম তাঁর দক্ষিণ শ্রীহট্টের সাধুহাটি গ্রামের বাড়ীতে শেষবারের মতো ফিরে গিয়েছিলেন ১৪ই আগস্ট ১৯৪৭ এর দিন দুয়েক আগে । কিন্তু তাঁকে কয়েকজন সতর্ক করে দেয় যে তিনি যেন চলে যান, কারণ অন্যথায় মুসলিম লীগ সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করবে । তিনি ১৪ই অআগস্ট ভোরবেলা গৃহদেবতাকে প্রণাম করে একবস্ত্রে শিলং হয়ে কলকাতা চলে যান । পিছনে পড়ে রইলো সাধুহাটি । 

আপাদমস্তক প্রচারবিমুখ ছিলেন অনঙ্গ মোহন দাম । কলিকাতায় তিনি প্রথমে লোয়ার সার্কুলার রোডে, পার্ক সার্কাসের ঝাউতলা রোডে, অশোকনগর(হাবরা) প্রভৃতি স্থানে ভাড়াবাড়িতে থেকেছেন । পরবর্তীতে জ্যেষ্ঠপুত্র শ্রীমান আশীষ কুমার দাম সরকারী চাকুরি পেলে, ১৯৬৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উত্তর চব্বিশ পরগণার সোদপুরের হাউজিং এস্টেটের ফ্লাটবাড়ী কিনেন, তখন থেকে ওখানেই স্থায়ী শ্রীহট্টের দক্ষিণ শ্রীহট্টের সাধুহাটির দাম পরিবার । 

 ৬ই জানুয়ারি ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে মহাপ্রয়াণ ঘটে এই বিপ্লবী শ্রীহট্টীয়ের ।।