Friday, May 3, 2024
দেশ

‘ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দিত, কাফের বলে ডাকত’, ভারতে এসে জানালেন নির্যাতিত শিখ ও হিন্দুরা

নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর ভয়াবহ রকমের অত্যাচার চলছে। সেই অকথ্য অত্যাচারের কথা জানালেন ভারতের ভিসা নিয়ে আসা ১১জন আফগানিস্তানের নাগরিক। তাঁরা হিন্দু ও শিখ ধর্মালম্বী। এই ১১ জনের মধ্যে আছেন শিখ স্থানীয় নেতা নিদান সিং সচদেব, যাকে  অপহরণ করেছিল দুর্বৃত্তরা। পরে আফগান সরকারের হস্তক্ষেপে ছাড়া পান তিনি।

রবিবার আফগানিস্তানের নাগরিক ওই ১১ জনকে স্বাগত জানায় ভারত। আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা শিখদের মধ্যে নীদন সিং, মাকান্দলাল, সনমিত কৌর, বলেন্দ্র সিং, চরণ কৌর সিং, বালভান কৌর সিং, গুরুজিৎ সিং, মনমিত কৌর, মনদীপ সিং, পুনম কৌর এবং প্রবীণ সিংহ রয়েছেন।

দিল্লি বিজেপি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানিস্তানে হওয়া নৃশংস অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন ১১ জন নাগরিক, যারা ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছেন। এরা আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখ ধর্মালম্বী।

তাঁরা জানিয়েছেন, কিভাবে তাঁদের জোরজবরদস্তি করে ধর্মান্তরিত করা হতো। প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। তাঁদের কাফের বলে ডাকা হতো। চলতি বছরের মার্চে কাবুলে গুরুদ্বারে হানায় ২৫ জন শিখ নিহত হন। এই হামলার দায় নেয় আইসিস। যদিও ভারতের দাবি, এই হামলার নেপথ্যে ছিল লস্কর ও হাকানি নেটওয়ার্ক। এদিন যারা এসেছেন, তাদের অনেকের পরিবার ওই সন্ত্রাসবাদী হানায় প্রাণ হারিয়েছেন। একজন তরুণীও আছেন যাকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ৮০-র দশকে ২ লাখের বেশি শিখ ও হিন্দু বসবাস করতো আফগানিস্তানে। এখন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ হাজারে। এখন মাত্র ১,৩৫০ জন হিন্দু ও শিখ আফগানিস্তানে থাকেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

তবে শুধু আফগানিস্তান নয়, সংখ্যালঘুরা বিভিন্ন দেশে এভাবেই নির্যাতিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানেও সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংখ্যালঘু হিন্দুরা কেঁদে কেঁদে দিনরাত পার করছেন। ১৯৪৭ থেকে শুরু হওয়া হিন্দু নির্যাতন বর্তমানে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।