Saturday, April 27, 2024
জীবনযাপন

মেকআপ না তুলে ঘুমানোর ক্ষতিকর দিক গুলি

বর্তমান সময়ে পার্টি কিংবা কোন অনুষ্ঠানে গেলে মেকআপ ছাড়া অনেকেই চিন্তাই করতে পারেন না। কেউ আবার বাইরে বের হলেই প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা কিংবা ভারী মেকআপ ব্যবহার করেন। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে মেকআপ করার সময় যে পরিমাণ উত্‍সাহ থাকে, দিন শেষে বা অনুষ্ঠান শেষে মেকআপ তোলার ব্যাপারে অতটা উত্‍সাহ দেখা যায় না। অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফিরে আলসেমি করে মেকআপ না তুলেই ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকের মধ্যে। কিন্তু এটা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যত রাতেই বাড়ি ফিরুন না কেন মেকআপ অবশ্যই তুলে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। কারণ যারা নিয়মিত মেকআপ ব্যবহার করেন কিন্তু তা পরিষ্কার না করেই ঘুমাতে যান তাদের যেসব সমস্যা হতে পারে-

১. চোখে ইনফেকশন: চোখের মেকআপ সবারই বেশ পছন্দের। তবে অনেকেরই হয়তো জানা নেই চোখের মেকআপের জন্য স্যাডো বা অন্য যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে চোখের ইনফেকশনের ক্ষেত্রে। মাশকরা থেকে স্যাডো -যেকোন কিছুরই যদি এক বিন্দু চোখের ভিতরে প্রবেশ করে তাহলে চোখের সমস্যা হতে পারে, ইনফেকশনও ঘটতে পারে।

২. কালো আচিল: মুখে কালো আচিল হলে তা কারও পছন্দ হবার কথা নয়। মেকআপ না তুললে এটি হবার সম্ভাবনা বাড়ে।

৩. ব্রন: মেকআপ না তুললে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

৪. ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়: রাতে ঘুমোতে আগে লিপষ্টিক ভালভাবে পরিষ্কার না করলে ঠোঁটের শুষ্কতা বেড়ে যেতে পারে।

৫. ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে: নিয়মিত মেকআপ পরিষ্কার না করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। ফলে অল্প বয়সেই মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়।

৬.ত্বকে ফুসকুড়ি: মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে ত্বকে ফুসকুড়ি, বলিরেখা, শুষ্কতাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমানোর আগে মেকআপ না তুললে ত্বকের পোর (ছিদ্র) বন্ধ হয়ে যায়। মেকআপ ঘাম বেরোতে বাধা দেয়, যার ফলে ত্বকের কোষে ঠিকমতো অক্সিজেন পৌঁছায় না। এ ছাড়াও ত্বক থেকে সেবাম (যা এক ধরনের তৈলাক্ত তরল) নিঃসৃত হয় যার ফলে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। মেকআপ বেশিক্ষণ লাগানো থাকলে আমাদের শরীরের এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াগুলো বাধা পায়। ফলে ত্বকে দেখা দিতে পারে ফুসকুড়ি ও অস্বস্তি।