Monday, May 6, 2024
দেশ

মেঘালয়ে এক হিন্দু নাবালিকাকে গণধর্ষণ, ৩ জন লাঞ্ছিত, অভিযুক্ত ২৫ জিহাদি, LRO’র টুইট ভাইরাল

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মেঘালয়ে ৪ নাবালিকাকে গণধর্ষণ। মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পার্বত্য জেলার গান্ধীপাড়া গ্রামে বার্ষিক চেঙ্গা বেঙ্গা মেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (20শে এপ্রিল) লিগ্যাল রাইটস অবজারভেটরি (এলআরও) এই ঘটনার কথা টুইটে তুলে ধরেছে। 

টুইট এলআরও জানিয়েছে, ‘মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের ৪ জন নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে ২৫ জিহাদি গণধর্ষণ করেছে।’


এলআরও টুইটে লিখেছে, “আসাম-মেঘালয় সীমান্তে বার্ষিক চেঙ্গা বেঙ্গ মেলার সময়; বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ সালমারা-মানকাচর জেলা থেকে আগত জিহাদিরা ৪ জন নাবালক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে। এরপর ওই ৪ নাবালিকাকে গণধর্ষণ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। গারোবাধা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি!”

এসপি (দক্ষিণ পশ্চিম গারো হিলস) বিকাশ কুমার জানিয়েছেন, নির্যাতিতাদের মধ্যে দু’জন নাবালক ছেলে এবং দু’জন নাবালিকা রয়েছে। ঘটনাটি এ বছরের ১৬ এপ্রিল ঘটেছিল তবে দুই দিন পরে ১৮ এপ্রিল রিপোর্ট করা হয়েছিল।

লিগ্যাল রাইটস অবজারভেটরি এই ঘটনায় অসম ও মেঘালয় সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য মেঘালয় পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অমিত শাহকেও অনুরোধ জানিয়েছেন।

৩ জন লাঞ্ছিত, একজনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। একদল দুষ্কৃতী দু’জনকে আটক করে। তারপরে, অন্য নাবালক ছেলে এবং একটি নাবালিকা মেয়েকে দুষ্কৃতীরা একই স্থানে আটকে রাখে।

৪ ভিকটিমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল এবং একজন নাবালিকা মেয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এ বিষয়ে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছিল যে মোট ১০-১৫ জন মুসলিম পুরুষ জঘন্য এই অপরাধে জড়িত।

এসপি বিকাশ কুমার বলেছেন, “প্রথম মেয়েটির কাছ থেকে প্রাপ্ত মেডিকেল রিপোর্ট এবং বিবৃতি অনুসারে, তাকে শারীরিকভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় মেয়েটির মেডিকেল রিপোর্ট ও বিবৃতিতে বলা হয়েছে তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়েটি অনেক ট্রমা, ব্যথা এবং উদ্বেগের মধ্যে ছিল, যার পরে আমাদের দল চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লিউসি) সাথে যোগাযোগ করে এবং নিশ্চিত করে যে তাকে যথাযথ চিকিৎসা এবং পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

LRO পোস্ট মিথ্যা বা সত্য বলা যাবে না: এসপি বিকাশ কুমার

বিকাশ কুমার এই মামলায় ‘সাম্প্রদায়িক রুপ’ দেওয়ার বিষয়টিকে খারিজ করেছেন। তিনি বলেছেন, অভিযুক্তদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

এলআরওর ভাইরাল পোস্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, “আমি পোস্টটিকে মিথ্যা বলতে পারি না, তদন্ত এখনও চলছে বলে আমি এটিকে সত্য বলতে পারি না। যদিও এর কিছু সত্য হতে পারে, তবে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত শেষ হলেই সামনে আসবে।”

Op India