Friday, May 17, 2024
দেশ

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, ঔপনিবেশিক মানসিকতারই পরিচয়: বিদেশমন্ত্রক

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বিবিসি। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। তথ্যচিত্রটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। এটি ভারত এবং ব্রিটেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপাতত ভারতে রিলিজ হচ্ছে না তথ্যচিত্রটি। তবে মোদী সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও আনুষ্ঠানিক রিলিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরছে না বিবিসি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্রিটেনবাসী আগামী ২৪ জানুয়ারি তথ্যচিত্রটি দেখতে পারবেন। গত ১০ জানুয়ারি সেটি সীমিতসংখ্যক বাছাই করা দর্শককে দেখানো হয়েছিল।

তথ্যচিত্রটি সম্পর্কে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি ওই তথ্যচিত্রে ঔপনিবেশিক মানসিকতাই প্রকাশ পেয়েছে।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ডকুমেন্টারিতে যা দেখানো হয়েছে তার সঙ্গে তিনি একমত নন।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমরা মনে করি এটা একটা প্রোপাগান্ডার অংশ। এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। এটি পক্ষপাতদুষ্ট’।

ব্রিটেনের ‘হাউস অব লর্ডসে’র সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জার চিঠি লিখে বিবিসিকে জানিয়েছেন, তথ্যচিত্রের দ্বিতীয় পর্বের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হোক। এটি ব্রিটেনের হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

পাশাপাশি রামি পরিষ্কার জানতে চেয়েছেন, এ ধরনের সিরিজ তৈরির পিছনে পাক বংশোদ্ভূতদের কোনো ভূমিকা রয়েছে কিনা।

উল্লেখ্য, ভারত এবং ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্যের দিকে এগোচ্ছে। বর্তমানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু এবং তিনিও একজন হিন্দুকে বিয়ে করেছেন। ঋষি সুনাককে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতে দেখা যায়।

রামির দাবি, তিনি সিরিজটি দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বিবিসি তাদের ডকুমেন্টারি সিরিজে পুরনো ক্ষতকে খুঁচিয়ে তুলেছে। হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ঘৃণা ছড়িয়ে এই তথ্যচিত্রে ভারতকে অসহিষ্ণু দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে মুসলিমরা ভারতে নিরাপদ নন। সত্যিই তাই হলে মুসলিমরা তো ভারত ছেড়ে চলে যেতেন। কিন্তু ঘটনা হলো, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা পাকিস্তানের চেয়ে বেশি।’